নিজস্ব প্রতিবেদক »
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলছে দিনরাত ভারী বর্ষণ। বৃষ্টির পানিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের বসতঘর। বেশিরভাগ এলাকার সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যাও কম দেখা যাচ্ছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরীর বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল থেকে রাস্তাঘাট হাঁটু থেকে কোমরসমান পানিতে ডুবে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। নগরের বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, মোহাম্মদপুর, শুলকবহর, বাদুড়তলা, চকবাজার, বাকলিয়া, রাহাত্তারপুল, ডিসি রোড়, আগ্রাবাদের সড়ক যানচলাচল একেবারে সীমিত, সড়কে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি। এসব এলাকার অনেক বাসাবাড়ির নিচতলায় পানি ঢুকে গেছে।
কাতালগঞ্জে নৌকা চলতে দেখা গেছে। কাতালগঞ্জের অনেক বাসিন্দা নৌকায় বাসা থেকে মূল সড়কে আসা-যাওয়া করছেন।
সড়কের ওপর কোমরসমান পানি থাকার কারণে মুরাদপুর বহদ্দারহাট সড়ক, চকবাজার মুরাদপুর সড়কসহ বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল সকাল থেকে বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কের উভয় পাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল বারেক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে বৃষ্টি কমে আসবে। টানা বৃষ্টি পড়বে না। সূর্যের দেখা মিলবে বলে আশা করা যায়।’
এদিকে, গত দুই দিন ধরে জেলার সীতাকুণ্ড, মীরসরাই এবং ফটিকছড়িতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এ তিন উপজেলায় কমপক্ষে এক লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।