সুপ্রভাত ডেস্ক :
এক দিকে করোনা ত্রাণে তিনি নিয়মিত সাহায্য করছেন। কখনও টাকা দিচ্ছেন, কখনও পিপিই কিট, কখনও সুরক্ষাযন্ত্র। অন্য দিকে অক্ষয়কুমারের বিরুদ্ধে ছবি বাবদ পারিশ্রমিক কমানোর দাবি উঠল। অক্ষয়ের ছবি ‘লক্ষ্মী বম্ব’ গত কয়েক দিন ধরেই বিতর্কে। ছবিটির ওটিটি রিলিজ দিয়ে জটিলতার সূত্রপাত। এই মন্দার বাজারে প্রযোজকেরা ছবিটি অনলাইন রিলিজ করিয়ে খানিক লাভের মুখ দেখতে চাইছেন। কিন্তু অক্ষয় চান না তাড়াহুড়ো করতে। তাই গোড়া থেকে এ ব্যাপারে মুখবন্ধ রেখেছেন। তার উপরে ছবির প্রযোজক সাবিনা খানের সঙ্গে অক্ষয়ের রাজনৈতিক মতবিরোধ সমস্যা আরও বাড়িয়েছে।
সূত্রের খবর, ‘লক্ষ্মী বম্ব’-এর মেকিংয়ের বাজেট ছিল ৬০-৬৫ কোটি টাকা। এছাড়া অক্ষয় এই ছবির জন্য পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন ৭২ কোটি। প্রযোজকদের হিসেব অনুযায়ী, ছবিটি মুক্তি পেলে ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা অন্তত করত। তার সঙ্গে ওটিটি ও স্যাটেলাইট রাইট। ইদের সময়ে সলমন খানের ‘রাধে’র সঙ্গে অক্ষয়ের ছবিটি রিলিজের কথা ছিল। এই পরিস্থিতিতে আগের সব পরিকল্পনাই বানচাল হয়ে যাচ্ছে। সিনেমা হল খুললে বড় বাজেটের ছবির চাপে ছোট ছবিগুলোর পক্ষে জায়গা করা মুশকিল। যে কারণে ‘লক্ষ্মী বম্ব’, ‘গুলোবো সিতাবো’, ‘শকুন্তলাদেবী’র মতো অল্প বাজেটের ছবিগুলো অনলাইনে ছেড়ে দিচ্ছেন প্রযোজকেরা।
ইন্ডাস্ট্রির খবর, ডিজনি প্লাস হটস্টারের সঙ্গে ৯০ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে নির্মাতাদের। ওটিটি প্ল্যাটফর্মের নিরিখে টাকার অঙ্কটি লোভনীয় সন্দেহ নেই। কিন্তু গোলমাল করে দিচ্ছে অক্ষয়ের ৭২ কোটি টাকার পারিশ্রমিক। সে দিক থেকে দেখতে গেলে প্রযোজকদের লাভ হচ্ছে না ওটিটি রিলিজ করে, যদি না অক্ষয় টাকা কমান। ছবির আর এক প্রযোজক তুষার কাপূর। সাবিনা ও অক্ষয়ের ঝামেলায় মাঝে তিনি ফেঁসেছেন। তুষার নাকি অক্ষয়কে অনুরোধ করেছেন পারিশ্রমিকের অঙ্ক কমানোর জন্য। অক্ষয়ের তরফ থেকে এখনও কোনও জবাব আসেনি।
খবর : আনন্দবাজার’র।
বিনোদন