নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এর আঘাতে চট্টগ্রাম এলাকায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেয়ার পরপরই চট্টগ্রাম বন্দরে বন্ধ রাখা হয় পণ্য উঠানামা, জাহাজগুলোকে পাঠিয়ে দেয়া হয় বহির্নোঙ্গরে। ঝড় কেটে যাবার পর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকেই শুরু হয়ে যায় অপারেশন কার্যক্রম, বন্দর জেটিতে ভিড়ে ১২টি জাহাজ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম বলেন, গত ১৮ মে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানোর পরপরই আমরা ১৯মে সকালে জেটিতে থাকা ১৯টি জাহাজ থেকে পণ্য উঠানামার কাজ বন্ধ করে জাহাজগুলোকে বহির্নোঙ্গরে পাঠিয়ে দেই। ঘূর্ণিঝড় কেটে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকালে ১২টি জাহাজ আনা হয়েছে। বাকি জাহাজগুলো পরবর্তী জোয়ারে আনা হবে। সেই হেসেবে ৪৮ ঘণ্টা পর সচল হলো বন্দরের কার্যক্রম।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে জাহাজকে জোয়ারে আনা-নেওয়া করতে হয়। এজন্য বন্দরের পাইলটরা বহির্নোঙ্গরে গিয়ে জাহাজগুলোকে নিয়ে আসেন।
উল্লেখ্য, দেশের আমদানি রপ্তানির ৯৩ শতাংশ আদান প্রদান হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। তাই সব সময় এই বন্দর সচল রাখতে হয়। শুধুমাত্র ঈদের দিন ছাড়া বন্ধ হয় না বন্দরের অপারেশন কার্যক্রম। তবে এধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে কয়েকদিনের জন্য পিছিয়ে পড়ে বন্দর। গতবছর ফনির কারণেও সমস্যায় পড়তে হয়েছিল বন্দরকে। তবে এবারের ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম বন্দরের উপর দিয়ে না যাওয়ায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি, যদিও চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হয়েছিল।
এ মুহূর্তের সংবাদ