নিজস্ব প্রতিবেদক :
টানা বর্ষণে দ্বিতীয় দিনের মতো পাহাড়ি এলাকাগুলোতে মাইকিং করেছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটগণ। বৃষ্টিতে পাহাড়ধসে যাতে মানুষের মৃত্যু না হয় সেজন্য বুধবার থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ১৭টি পাহাড়সহ পাহাড়ি এলাকাগুলোতে মাইকিং করে জেলা প্রশাসন। এসময় ঝুঁকিপূর্ণ বসতিদের সতর্ক করার পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিভিন্ন টিমে ভাগ হয়ে মাইকিং কার্যক্রম পরিচালনা করেন। বৃহস্পতিবার নগরীর লালখান বাজার মতিঝর্ণা, বাটালি হিল, একে খান পাহাড়, টাংকির পাহাড়, আমিন জুট মিলস এলাকা, রউফাবাদ, খুলশী, পাহাড়তলি, ফয়’স লেক, আকবর শাহ, ফিরোজশাহ ঝিল-১,২,৩ নং এলাকা, কৈবল্যধাম বিশ্বকলোনি এলাকা, ফিরোজ শাহ এলাকা, বন গবেষণা ইনস্টিটিউট এলাকাসমূহে ভারী বর্ষণের মধ্যে মানুষদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করা হয়। একইসাথে মানুষকে নিরাপদে রাখতে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রও প্রস্তুত রাখা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এবিষয়ে শক্তিশালী পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের কারণে যাতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা যায় সেজন্য এবার আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। একইসাথে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়লে কেউ নিজ উদ্যোগে সরে না এলে আমাদের টিম উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করবে।’
এদিকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে বিভিন্ন এলাকার সহকারী কমিশনার (ভূমি) গণের তত্ত্বাবধানে এবং কাউন্সিলরদের স্বেচ্ছাসেবকের সমন্বয়ে লোকজনকে সরে আসতে মাইকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। বর্ষার সময় অনেকে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে অন্যত্র আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে বলে নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেটগণ জানান।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর বৃষ্টি হলেই চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। গত দুই দিন ধরে টানা বর্ষণ হওয়ায় পাহাড় ধসের ঝুঁকি বাড়ছে। বৃহস্পতিবারও দিনভর থেমে থেমে বর্ষণ হয়েছে। আরো কয়েকদিন এধরনের বৃষ্টি থাকতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রামে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারে ১৪৮ মিলিমিটার। বঙ্গোপসাগরে সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে সাগরের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বইছে এবং এর প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে।
স্বদেশ