নিজস্ব প্রতিবেদক :
নগরীর আনাদরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় আরো ৫০ শয্যা যুক্ত করছে কর্তৃপক্ষ। ১০০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ডে রোগী পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ উদ্যোগ নিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর, জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথের সাথে বৈঠক করে করোনা চিকিৎসায় আরো ৫০ শয্যা যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালের গাইনি ও ইএনটি ওয়ার্ডের ৫০ শয্যা যুক্ত হচ্ছে করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডের সাথে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ সুপ্রভাতকে বলেন, তিন দিন আগে আমাদের ১০০ শয্যার আইসোলোশন ওয়ার্ড পূর্ণ হয়ে যায়। সুস্থ রোগীদের ছাড়পত্র দিয়ে আমরা নতুন রোগী ভর্তি করছি। কিন্তু এরপরও রোগীর চাপ কমছে না। এ অবস্থায় আমরা হাসপাতালের গাইনি ও ইএনটি ওয়ার্ডকে খালি করে আইসোলেশন ওয়ার্ডের সাথে যুক্ত করছি। দুটি ওয়ার্ডে ৫০ টি শয্যা রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুধু ১০০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড নয়, ১০ শয্যার আইসিইউ ওয়ার্ডেও রোগী ভরপুর। মঙ্গলবার বিকেলে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১১২ জন রোগী ছিল। এরপর দ্বিতীয় দফা নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল আসা ও সুস্থ থাকা ১২ জন রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু এরপর আরো ৪ জন রোগী হাসপাতালে গিয়ে শয্যা না থাকায় ফিরে আসে। তাদেরকে বুধবার সকালে আসতে বলা হয়।
জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের সমন্বয়ক ডা. আবদুর রব মাসুম সুপ্রভাতকে বলেন, দিন দিন হাসপাতালের পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। আইসোলেশন ওয়ার্ড ও আইসিইউ কোথাও ঠাঁই নেই। দিন দিন রোগীর চাপ অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। সুস্থ রোগী বাছাইয়েও আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। শয্যা না থাকায় অনেক রোগী ফিরে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সামনে আরো ৮ শয্যার আইসিইউ যুক্ত হবে। তবে ৫০ শয্যা বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে না। সামনে রোগীর চাপ আরো বাড়বে। তখন হয়তো হাসপাতালের পুরো ২৫০ শয্যায় করোনার চিকিৎসা দিতে হবে।
এ মুহূর্তের সংবাদ