নিজস্ব প্রতিবেদক
কোভিড হাসপাতালে প্রসব হলো করোনা রোগীর সন্তান। অপারেশনের মাধ্যমে ডেলিভারি হওয়া মা ও নবজাতক উভয়ে সুস্থ আছেন।
আজ রোববার দুপুরে খুলশি এলাকার ৩২ বছর বয়সী ফার্মাসিস্ট মেহের আফরোজ এবং প্রাইভেট চাকুরে ফাহিম দম্পতি তাদের দ্বিতীয় সন্তান জন্মদান করেন।
ছেলে সন্তান জন্ম দেয়া মেহের আফরোজ আজ সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে করোনা রোগী হওয়ায় সেখান থেকে তাকে জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। জেনারেল হাসপাতালে সকালে যাওয়ার পর দুপুরে অপারেশন থিয়েটার প্রস্তুত করে জরুরি অবস্থায় রোগীকে অপারেশনের ব্যবস্থা করেন গাইনি কনসালটেন্ট ডা. জাহানারা বেগম। দুপুর একটায় তিনি ৪৫ মিনিট সময় নিয়ে অপারেশন শেষ করেন। নতুন নবজাতক ছেলে সন্তান, তার ওজন আড়াই কেজি। মা ও নবজাতক উভয়ে সুস্থ আছেন।
তবে এই অপারেশন করতে গিয়ে অন্যরকম প্রতিবন্ধকতার কথা জানান কনসালটেন্ট ডা. জাহানারা বেগম। তিনি বলেন, রোগীর অবস্থা খারাপ ছিল দেখে আমরা দ্রুত তাকে অপারেশনের ব্যবস্থা নেই। অপারেশন করার মতো পর্যাপ্ত লজিস্টিক সাপোর্ট আমাদের ছিল না। অপারেশন থিয়েটারের রুমের এসি থেকে পর্যাপ্ত বাতাস বের হচ্ছিল না, এতে আমি পিপিই ও গগলস পড়ে থাকায় ঘেমে গগলস ঝাপসা হয়ে যায় এবং অপারেশন কাজ চালাতে অনেক কষ্ট হয়েছে। অপরদিকে অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এসিটেন্ট ডাক্তার, নার্স ও ক্লিনারসহ একটি টিমের প্রয়োজন। কিন্তু এখানে আমি তাই পাইনি। একজন নার্স নিয়ে অপারেশন কার্যক্রম শেষ করতে হয়েছে। অপারেশনের সময় এসিটেন্ট থেকে পর্যাপ্ত সাপোর্ট পাওয়া না গেলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।
তিনি আরো বলেন, জেনারেল হাসপাতালে গাইনি রোগীদের জন্য নির্ধারিত ডাক্তারদের কোভিড চিকিৎসার জন্য নিয়ে নেয়া হয়েছে। এতে এখন গাইনি রোগীদের সমস্যা হচ্ছে। আরো প্রায় তিনজন গাইনি রোগী রয়েছে এবং আরো রোগী আসতে পারে। তাই এখনই এবিষয়ে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
এবিষয়ে বক্তব্য নিতে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথকে ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, জেনারেল হাসপাতাল করোনা রোগীদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল। যেসব করোনা রোগী গর্ভবতী তারাও তো এখানে এসে ভর্তি হচ্ছেন। তাদের ডেলিভারির বিষয়ে প্রশাসনের তৎপরতা প্রশ্নবোধক মনে হচ্ছে।