সুপ্রভাত ডেস্ক :
শেষবার তাদের একসঙ্গে পর্দায় দেখা গিয়েছিল গত বছর ডিসেম্বর মাসে। সৌজন্যে পরিচালক অতনু ঘোষের ‘রবিবার’। এবার এই অতিমারী পরিস্থিতি পর্দায় তুলে ধরতে ফের একবার জুটি বাঁধছেন জয়া আহসান এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতি আমাদের মননশীলতায় কতটা প্রভাব ফেলেছে, বাস্তবের সেই ছবিই সিনেপর্দায় উঠে আসবে। যে কর্মযজ্ঞের মূল কা-ারী সংগীতকার তথা জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেপরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত।
ছবির নাম ‘অসতো মা সদগময়’। ইন্দ্রদীপের ভাবনাতেই অতিমারী পরিস্থিতি ফ্রেমে তুলে ধরবেন জয়া-প্রসেনজিৎ। চিত্রনাট্য পরিচালকের নিজস্ব হলেও বিন্যাসের ভার বর্তেছে পদ্মনাভ দাশগুপ্তের উপর। ছবিতে মোট পাঁচজন চরিত্র। মানবজীবন কীভাবে করোনা আবহের কঠিন সময়ের সঙ্গে যুঝে চলেছে, সেই গল্পই ইন্দ্রদীপের হাত ধরে ফুটে উঠবে পর্দায়। জয়া আহসান এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও ছবির অন্য দুই চরিত্রে অভিনয় করবেন রুদ্রনীল ঘো, যিনি কিনা ইন্দ্রদীপের ‘কেদারা’ ছবির অন্যতম মূল চরিত্রে ছিলেন, এবং থাকছেন অরুণ মুখোপাধ্যায়ও। তবে পাঁচ নম্বর চরিত্রের সন্ধান এখনও চলছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, জুলাইয়ের ২০ তারিখই ছবির চিত্রনাট্য নিয়ে প্রসেনজিতের সঙ্গে আলোচনা সারবেন পরিচালক।
তা গল্পটা কীরকম? প্রথম ছবি উপহার দিয়েই দর্শকদের মনে জায়গা করে নেওয়া পরিচালক ইন্দ্রদীপ জানালেন, ‘এই অতিমারী পরিস্থিতি আমাদের মন-মানসিকতায় কতটা প্রভাব এবং কীভাবে জনজীবনের চারিত্রিক দিকগুলোও বদলে গিয়েছে গত মাস খানেকের মধ্যে, সেই ভাবনাই ছবির মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। তবে এটুকুই বলব, কোভিড-১৯ এক্ষেত্রে সিনেমার প্রেক্ষাপট মাত্র! এই ছবি নিয়ে চিন্তাভাবনা করার সময়ে প্রথমটায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা মাথায় আসেনি। তবে পরে শুধুমাত্র ৫ জন চরিত্র নিয়েই গোটা গল্পটাকে দেখানোর কথা ভাবা হয়েছে। এক্ষেত্রে সুরক্ষা বিধি মেনে কাজ করতেও সুবিধে হবে।’
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ইন্দ্রদীপ যেভাবে সূক্ষ্ম বিষয়গুলো বড় ক্যানভাসে তুলে ধরে, সেটা ভীষণ পছন্দের। খুব শিগগিরিই ছবি বিষয়ক আলোচনা সারা হবে। অন্যদিকে, লকডাউনে বাংলাদেশে আটকে অভিনেত্রী জয়া আহসান। চিত্রনাট্য শুনে তিনি বিন্দুমাত্র দেরি করেননি প্রস্তাবে সায় দিতে। এখন অপেক্ষায় রয়েছেন, কতদিনে কলকাতায় এসে শুটিং করবেন। ছবির সংগীত পরিচালনার কাজ ইন্দ্রদীপ নিজেই দেখছেন। এবং ক্যামেরার দায়িত্বে শুভঙ্কর ভড়।
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।