সুপ্রভাত ডেস্ক
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত আবুলখায়ের গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ও বহুমুখী এই শিল্পগ্রুপ প্রতিবছরের মতো এবারও কৃতিশিক্ষার্থীদের সম্মাননা জানাতে এ জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন করে।
রোববার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় শুটিংক্লাব মিলনায়তনে ‘তোমরাই গড়বে আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে মোট ৬৫ জন কৃতিশিক্ষার্থীকে সম্মাননা জানিয়েছে আবুল খায়ের গ্রুপ।
এতে মাধ্যমিক পর্যায়ের ৪৪ জন এবং উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ২১ জন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আবুল খায়ের গ্রুপের ব্র্যান্ড মার্কেটিং ডিরেক্টর নওশাদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তা ও টেন মিনিট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও আয়মান সাদিক।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন আবুল খায়ের গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মুহাম্মাদ মামুন, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড লিগ্যাল বিভাগের প্রধান শেখ শাবাব আহমেদ, ডিভিশনাল এইচআর হেড সাদ জশিম এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (এইচআর) মো. নুরুল আফসারসহ গ্রুপের অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি নওশাদ চৌধুরী বলেন, এই দিনটিতে আমরা পরিবারের সাফল্য উদযাপন করি। তাই দিনটি আমাদের গ্রুপের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি প্রজন্মের জন্য আলাদা চ্যালেঞ্জ থাকে। সারা বিশ্বই বর্তমানে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সময়ে প্রযুক্তির বড় পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তরুণদের উচ্চতর শিক্ষার পরিকল্পনা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ডিগ্রির চেয়ে দক্ষতাকেই এখন বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, তাই তরুণদের সেই দিকেই মনোযোগী হতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মুহাম্মাদ মামুন বলেন, সাফল্যের কোনো শর্টকাট পথ নেই। সাফল্য ও লক্ষ্যে পৌঁছাতে অধ্যবসায় প্রয়োজন।
ডিভিশনাল এইচ আর প্রধান সাদ জসিম তাঁর বক্তব্যে তরুণদের মাল্টিপল স্কিল অর্জনে উৎসাহিত হওয়ার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি আয়মান সাদিক বলেন, ‘এ বছর শুধু এ-প্লাস পাওয়া নয়, পাস করাটাই ছিল কঠিন। যারা এবার এ-প্লাস পেয়েছে, তারা সত্যিকারের মেধাবী।’
তিনি কৃতিশিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সন্তানদের যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান এবং তরুণদের নিত্যনতুন দক্ষতা অর্জনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক কৃতিশিক্ষার্থীকে আবুল খায়ের গ্রুপের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট, উপহার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে কৃতিশিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁদের অভিভাবক ও শিক্ষকবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকার মতোই বন্দর নগরী চট্টগ্রামেও শিগগিরই একই ধরনের আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

















































