সুপ্রভাত ডেস্ক »
জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু আর নেই । আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠ।
গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন এবং ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মহাখালীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গেছে, বাবলু গত ৪ সেপ্টেম্বর সিলেটের একটি উপনির্বাচনের নির্বাচনী প্রচারণার সাথে ছিলেন।
জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার এশার নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে জানাজা হবে। পরে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্থানে দাফন করা হবে।
১৯৫৪ সালে চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া বাবলু দ্বিতীয় দফায় জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সাবেক সংসদ সদস্য বাবলু এইচ এম এরশাদের সরকারে উপমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র বাবলু বাসদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত শতকের ৮০ এর দশকের শুরুতে ডাকসুর জিএস থাকা অবস্থায় সামরিক শাসক এরশাদের দলে যোগ দিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন তিনি।
তাকে প্রথমে উপদেষ্টা করেছিলেন সামরিক আইন প্রশাসক এরশাদ। পরে শিক্ষা উপমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। এরপর বাবলুকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং পরে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী করা হয়েছিল।
১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বাবলু। পরে ২০১৪ সালে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এরশাদের নির্দেশে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।
এরশাদের জীবদ্দশায় ২০১৪ থেকে দুই বছর জাতীয় পার্টির মহাসচিবের দায়িত্বে ছিলেন বাবলু। ২০২০ সালে আবার সেই দায়িত্বে ফিরেছিলেন তিনি।
কয়েক বছর আগেই জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদের ভাগ্নি মেহেজাবুন্নেসা রহমান টুম্পাকে বিয়ে করেছিলেন বাবলু। তার প্রথম স্ত্রী অধ্যাপক ফরিদা আক্তার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৫ সালে মারা যান। বাবলু-ফরিদা দম্পতির এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।