সুপ্রভাত ডেস্ক »
এমভি আবদুল্লাহকে অপহরণ করা সোমালি জলদস্যুদের সঙ্গে এখন পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ করা যায়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ছিনতাই হওয়া জাহাজের সব নাবিক নিরাপদে আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘গোদোব জিরান উপকূল থেকে প্রায় ৪ মাইল দূরে জাহাজটি এখনও তার সর্বশেষ অবস্থানেই রয়েছে।’ খবর টিবিএসের।
গত সপ্তাহে মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ বন্দরে কয়লা নিয়ে যাওয়ার সময় এমভি আবদুল্লাহকে সোমালি জলদস্যুরা অপহরণ করে।
এদিকে, সোমালি জলদস্যুরা এমভি আবদুল্লাহকে অপহরণ করার ঠিক পরপরই ইউরোপীয় মেরিটাইম ফোর্সেসের একটি জাহাজ এবং ইন্ডিয়ানা নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ তাৎক্ষণিকভাবে নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালানোর অনুমতি চেয়েছিল।
তবে জাহাজের মালিক এসআর শিপিং এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাবিকদের প্রাণহানির ঝুঁকি এড়াতে সশস্ত্র অভিযানের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়।
গত বৃহস্পতিবার জাহাজ মালিকরা জানান, জলদস্যুরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলেও উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
২০১০ সালে জলসদ্যুদের কবলে পড়া এমভি জাহান মনির নাবিক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ‘জলদস্যুরা তাদের জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর জাহাজ মালিকের কাছে মুক্তিপণ দাবি করতে ২৬ দিন সময় নিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘নাবিকদের পরিবার ও জাহাজ মালিকের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই তারা এই কৌশল খাটায়। এমনকি মুক্তিপণ চাওয়ার পরও তারা সমঝোতা করতে বিলম্ব করে।’
উল্লেখ্য, মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাইয়ে যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে জলদস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ বাংলাদেশি নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।