সুপ্রভাত ডেস্ক »
বিরোধী দলের আন্দোলনে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাসস জানিয়েছে, জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার-২০২৩’ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
সরকার প্রধান বলেন, ‘সামান্য আন্দোলন দেখে ভয় পাবেন না; যতক্ষণ জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে ততক্ষণ ভয়ের কিছু নেই। আমরা অগ্নিসংযোগ-সন্ত্রাসকে আর বরদাস্ত করব না। এটা কখনই মেনে নেয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি কথা মনে রাখবেন, যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সমর্থন দেয়নি, তাদের মনের শত্রুতা এখনো কাটেনি। তবে আমরা সামনে এগিয়ে যাচ্ছি এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জীবনে সমস্যা আসবে এটা স্বাভাবিক, তবে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হলে মনোবল ও শক্তি প্রয়োজন। এই শক্তি নিয়ে এগিয়ে গেলে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আমি এটি বিশ্বাস করি।’
তিনি আরও বলেন, সরকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করছে, এমনকি দুস্থ সম্প্রদায়েরও। তাই দ্রব্যমূল্য নিয়ে দুর্দশা গ্রামীণ এলাকায় প্রায় নেই।
জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য কাজের জন্য ২৮ জন কর্মকর্তা ও দুটি সরকারি দপ্তরকে পুরস্কার দেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের দক্ষতা, মননশীলতা এবং উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করতে ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন বিভাগে এই পুরস্কার দেয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মচারীদের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণের সেবা করা তাদের দায়িত্ব। পাশাপাশি তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের সর্বদা উদ্ভাবনী ধারণা খুঁজে বের করতে এবং তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করে দেশকে আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এগিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন।
‘তরুণ কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেক বেশি উদ্ভাবনী শক্তি রয়েছে। এখন নতুন প্রযুক্তির যুগ। আপনি যখন আপনার নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেন, তখন সর্বদা চিন্তা করুন কী কী উদ্ভাবন করা যায় এবং কীভাবে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়,’ বলেন তিনি।
জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস প্রতি বছর ২৩ জুলাই পালিত হচ্ছে। এবছর প্রধানমন্ত্রী সে সময় ইতালিতে সরকারি সফরে থাকায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়নি।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা তাদের নামের শেষে ‘বিপিএএ’ ব্যবহার করতে পারেন। প্রত্যেককে একটি স্বর্ণপদক (১৫ গ্রাম ওজনের) এবং রাষ্ট্রীয় মনোগ্রামসহ একটি প্রশংসাপত্র দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত অবদানের জন্য দুই লাখ টাকা এবং দলগত অবদানের জন্য পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএন আশেকুর রহমান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।