বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে সরকার এগুলোকে রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে। কোনো সরকারের আমলে যখন এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকে তখন দেশ পরিচালনায় তাদের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে উঠে। এসব ঘটনায় সরকার রাজনীতি করছে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নেয়ার জন্য। কারণ আওয়ামী লীগের কোনো রাজনীতি নেই। দলটি রাজনৈতিকভাবে দৈন্যদশায় পড়েছে। দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার অন্য খেলার ষড়যন্ত্রে নেমেছে।
তিনি গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় নগরীর কাজির দেউরি নুর আহমেদ সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
আমীর খসরু আরও বলেন বাংলাদেশের মানুষ আজ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। রাস্তাঘাটে, পথেপ্রান্তরে, সমাবেশে প্রত্যেক জায়গায় আজ একটা প্রশ্ন কবে এ সরকারের বিদায় হবে। শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় প্রতিটি দিন অতিবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের ম্যাসেজ।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চরম দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত হয়েছে। দেশে চরম দুর্নীতি চলছে। এই অবৈধ সরকার দুর্নীতি দুঃশাসনের মাধ্যমে জনগণের অর্থ লুটপাট করে জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করছে। যার ফলে গণতন্ত্রের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয় গ্রেডে।
মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, আওয়ামী সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। বিএনপি তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। এ দাবি বাস্তবায়ন করেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, এরশাদ উল্লাহ, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, এড মুফিজুল হক ভূঁইয়া, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস এম আবুল ফয়েজ, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নসরুল কদির, জেলা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সেলিম জানে আলম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল্লাহ বাহার, মহিলা দলের মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, প্রমূখ। বিজ্ঞপ্তি