চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, জনগনের সম্পৃক্ততাই ক্যারাভান কর্মসূচির সফলতা। এ কর্মসূচি আমি নগরীর অলিগলিতে ছড়িয়ে দিতে চাই। যেসব এলাকা দীর্ঘদিন ধরে সিটি করপোরেশনের সুবিধাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত ছিল ক্যারাভানের কারণে সেসব এলাকার জনসাধারণ এখন নাগরিক সুবিধা পেতে শুরু করেছে যা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন এলাকাবাসী। প্রশাসক বলেন নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে এবং পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ বাসযোগ্য নগরী গড়ার প্রত্যয়ে আমি অঙ্গীকারাবদ্ধ। এ শহরের বিদ্যমান সমস্যাগুলো থেকে নগরবাসীকে পরিত্রাণ এবং জনদুর্ভোগ লাঘবে সরেজমিনে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আমার এই ক্যারাভান কর্মসূচি।
তিনি গতকাল বিকেলে বহদ্দারহাটস্থ খাজা রোড থেকে বলির হাট পর্যন্ত চসিক এর প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত টিম নিয়ে ‘নগর সেবায় ক্যারাভান’ কার্যক্রমে উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, ক্যারাভান কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ত করপোরেশনের সব বিভাগকে আমি এক ছাতার নিচে নিয়ে এসেছি যাতে যেখানেই সমস্যা সেখানেই সমাধান করা যায়। আমার এ কর্মসূচি ক্রমেই সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মাদক ও সন্ত্রাসের সাথে জড়িতরা কোনো অবস্থাতেই ছাড় পাবেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের জিরো টরালেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে। ক্যারাভান কার্যক্রম চলাকালীন বিভিন্ন স্পটে এলাকাবাসীর উত্থাপিত সমস্যার তড়িৎ সমাধানও দেন প্রশাসক। এ সময় তিনি জনসাধারণের মাঝে মাস্ক ও সাবান বিতরণ করেন। তিনি জনসাধারনকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান এবং ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করার আহ্বান জানান। এ সময় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহাবুদ্দীন, মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নোমান চৌধুরী, শহিদুল আলম, ফরহানুল আলম রাকিব, মো. তাসিন, ইরফানুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সিদ্দিক, মির্জা ফজলুল কাদের, প্রকৌশলী তৌহিদুল আলম, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর