নিজস্ব প্রতিবেদক
কভিড-১৯ সংক্রমণকালে জনগণের চিকিৎসা নিশ্চিত ও ৭ দফা দাবিতে গণসংহতি আন্দোলনের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে মানুষের বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু প্রতিরোধে সরকারি চিকিৎসাসেবা জনগণের জন্য প্রসারিত করতে আহ্বান জানানো হয়। গণসংহতি আন্দোলন, চট্টগ্রাম জেলা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত মানবন্ধনটি চিকিৎসা, অক্সিজেন, পর্যাপ্ত করোনা টেস্ট সহ ৭ দফা দাবিতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গবেষক ও জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটির সভাপতি ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, অবিলম্বে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের অনুমোদন দিয়ে গণটেস্টিং এর ব্যবস্থা করতে হবে। দৈনিক কমপক্ষে ৫০ হাজার পিসিআর টেষ্ট এর সক্ষমতা তৈরি ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে টেস্ট সুবিধা প্রসারের দাবি করেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মুহম্মদ আমীর উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে স্বাধীন সাংবিধানিক কমিশনের অধীনে পরচালনা করে নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরকারী-বেসরকারি স্বাস্থ্য কার্যক্রমের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জীবাণু বিশেষজ্ঞ, মহামারি বিশেষজ্ঞ ও সিনিয়র চিকিৎসকদের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলন, চট্টগ্রাম জেলা কমিটির আহ্বায়ক হাসান মারুফ রুমী বলেন, সারাদেশে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল দশার মধ্যে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অবস্থা আরও করুণ। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীতে চিকিৎসা ও অক্সিজেনের অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। প্রতিবছর বাজেটের আকার বাড়লেও স্বাস্থ্যখাতের বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল। সরকার প্রতিবছর যে পরিমাণ বরাদ্দ দেয় তার অধিকাংশ দুর্নীতি ও লুণ্ঠন হয়ে যায়। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় চট্টগ্রামে পর্যাপ্ত বিশেষায়িত ও ফিল্ড হাসপাতাল তৈরির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে বেসরকারি হাসপাতালগুলো সাময়িকভাবে অধিগ্রহণ করে শ্রমিক ও ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে সরকারিভাবে চিকিৎসা সেবা বাড়ানোর দাবি করেন।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মির্জা আবুল বশর, জেলা কমিটি নেতা নাসির জোসি, জেলা কমিটির সদস্য ফরহাদ জামান জনি প্রমুখ।
মহানগর