ছড়া প্রসঙ্গ
বিপুল বড়ুয়া
ছাতা আছে শিক নেই
ফুটো ডাল বাটি
ছাপাখানা ফর্মা গরম
সত্য কথা খাঁটি।
রপ্তচাপ-নিন্মচাপ
মার্কারি দেয় লাফ
কই মাছ ছুটছো কোথায়
টিকিট নিলো হাফ।
দাসের নাতি হাসপাতালে
বেড়াল ভিজে চুপ
ঢাকার পথে উড়ছে টাকা
কুড়োচ্ছে কেউ টুপ।
আরশোলা রাত দুপুরে
আসর জমায় ভারী
মাছ মাংস মিটসেফে
মুখ কি কালো হাঁড়ি।
তাঁর লেখা এসব কিছু
হামলে ওমা পড়া
এক জনমে ছড়া লিখেই
চমকালো দেশ-ধরা।
তাঁর ছড়ারা
কেশব জিপসী
তাঁর ছড়াতে নানান ঢঙে
ছন্দ করে খেলা,
তাঁর ছড়া সব তালেতালে
বাজে সারাবেলা।
তাঁর ছড়ারা গড়গড়িয়ে
স্বপ্নপুরে ছোটে,
তাঁর ছড়ারা পাপড়ি মেলে
মনের কোনে ফোটে।
তাঁর ছড়াকে শিশু-কিশোর
নিত্যি করে সাথি ,
তাঁর ছড়া সব নিয়ে সবাই
উৎসবেতে মাতি।
তাঁর ছড়াও ভেংচি কাটে
দুষ্ট লোকের নামে,
তাঁর ছড়া তাই পড়লে ওরা
লজ্জা পেয়ে ঘামে।
তাঁর ছড়া হয় হরেক রকম
নাচে মুখেমুখে,
সুকুমার বড়ুয়া তিনি
আছেন জুড়ে বুকে।
শ্রদ্ধা জানাই
জসীম মেহবুব
ছন্দের কারুকাজে এক সুকুমার,
ছড়া লিখে খুলেছেন নতুন দুয়ার।
ছড়া লিখে খ্যাতি তাঁর ছড়ায় জীবন,
ছড়ার সঙ্গে তাঁর রাখিবন্ধন।
মুখে মুখে ছড়া বুনে তিনি হেঁটে যান,
ছড়াতেই পেয়েছেন মান-সম্মান।
লিখে যান নিরলস ক্লান্তিবিহীন,
ছড়ার ছন্দে কাটে তাঁর সারাদিন।
তাঁর ছড়া জীবনের কথা বলে তাই,
এই প্রিয় শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাই।
সৌরভ ও গৌরবের
উৎপলকান্তি বড়ুয়া
একটা জীবন ছড়ার জীবন একটা জীবন তালের
একটা জীবন ছন্দ সুরের এই আধুনিক কালের।
একটা জীবন, তাঁর জন্ম বিনাজুরি গ্রামের
একটা জীবন বোম্বাইয়া আর বিলাতি ডাক নামের।
একটা জীবন কষ্ট জীবন একটা জীবন কাজের
একটা জীবন কলম খাতা মিল মাত্রা ভাঁজের।
একটা জীবন সৃষ্টি সুখের বৃষ্টি টাপুর টুপুর
একটা জীবন রূপ ঝলমল মিষ্টি রোদের দুপুর।
একটা জীবন সরল সিধা জীবন নদী পাড়ের
একটা জীবন রঙিন শহর নগর সুকুমারের।
একটা জীবন ফল-ফসলের প্রিয় বাংলা ভাষার
একটা জীবন কানায় কানায় শ্রদ্ধা ভালোবাসার।
একটা জীবন অতুল সফল ফুলের রাঙা টবের
একটা জীবন আলোয় ভাসা সৌরভ ও গৌরবের।
ছড়ার রাজ্যের রাজা
বাসুদেব খাস্তগীর
রাজার থাকে রাজ্য বিশাল
করেন তিনি শাসন
ছড়ার রাজ্যে অদ্বিতীয়
সুকুমারের আসন।
সহজ সরল ছন্দে গড়া
মুগ্ধ এ মন পড়ে ছড়া
সবাই তাঁকে বীর মানে
ছড়ার গতি নির্মাণে।
শাসন করেন ছড়ার রাজ্য
নাম যেন তাঁর অনিবার্য
আমরা ছড়ার পড়ুয়া
নাম সুকুমার বড়ুয়া।
অন্ত্যমিলের ঝর্নাধারা
কলকলিয়ে ছোটে
ছড়ার কলি ফুল হয়ে রোজ
তাঁরই হাতে ফোটে।
ছড়ার রাজপুত্র
শচীন্দ্র নাথ গাইন
পাগলা ঘোড়া,ভিজে বেড়াল,নানা রঙের দিন
পড়তে গেলে হৃদয়জুড়ে ছন্দে বাজায় বীণ।
চন্দনা গঞ্জনার ছড়া এবং চিচিংফাঁক
ভাব-ভাষাতে অনবদ্য দেয় লাগিয়ে তাক।
লেজ আবিষ্কার,নদীর খেলা অথবা ঠুসঠাস
পড়লে পাঠক বুঝতে পারে আসল ছড়ার চাষ।
ঠিক আছে ঠিক আছে, আহা দারুণ মজার বই
হাতে পেলেই যায় পড়ে ঢের সবখানে হইচই।
কোমল শব্দে ছড়া গাথা,তীক্ষ্ণ তবু খুব
ভিন্নমাত্রার লেখায় পাঠক সহজে দেয় ডুব।
অন্ত্যমিলের সুকারিগর ভীষণ পাকা হাত
ছড়ার তিনি রাজপুত্র ছড়ায় করেন মাত।
সুকুমার বড়ুয়া সবার প্রিয় ছড়াকার
পাঠককুলের মনমননে উঁচু আসন তাঁর।
বুদ্ধিদীপ্ত লিখনশৈলী কাড়ে সবার মন
পড়ুয়াদের কাছের মানুষ অতি আপনজন।
ছড়ার বাড়ি বিনাজুরি
ইমরান পরশ
ছড়ার রাজা সুকুমার
নয় তো কোনো দুখু মার।
যা লিখেছেন ছড়া হয়
কিন্তু ডালের বড়া নয়।
আমরা যে তার ছড়া পড়ি
ছড়ায় ছড়ায় লড়াই করি।
জন্ম বিনাজুরি গ্রামে
নিত্য ছড়াবৃষ্টি নামে।
ছড়ার বাড়ি বিনাজুরি
ছড়ায় ছড়ায় বাজাই তুড়ি।
সুকুমার বড়ুয়া
অবিনাশ আচার্য
মজার পড়া ১০০ ছড়া
মিষ্টি-তেতো লিকার কড়া
ভিজে বেড়াল, পাগলা ঘোড়া
নানা রঙের ফুলের তোড়া।
ঠুসঠাস ঠুসঠাস নদীর খেলা
ছোটদের হাট কাটলো বেলা
চন্দনা ও রঞ্জনাদের ছড়ায়
ছন্দে বিকেল সন্ধে গড়ায়।
ঠিক আছে ঠিক আছে বলে
মেহমানও এলেন চলে
আবার এলেন জন্মদিনে
ছড়ার রাজা নিলুম চিনে।
জয় সুকুমার ধন্য ধন্য
শ্রদ্ধা-প্রণাম কবির জন্য।
ছড়ারাজ
অপু বড়ুয়া
বাংলার ছড়ারাজ
সুকুমার বড়ুয়া
তাঁর লেখা ছড়া পড়ে
হতে চাই ছড়ুয়া।
ছন্দের এলোমেলো
হলে ভুল ধরুয়া
ছড়া মিল দিতে গিয়ে
গরুকেই গরুয়া।
আমি বেশ পড়ুয়া
ছড়াকার বড়ুয়া।
সুকুমার বড়ুয়া
গোলাম নবী পান্না
ছন্দের খেলা তার
ছড়াতেই মেলে
উপমার মাঠজুড়ে
তিনি যান খেলে।
সমাজের চিত্রটা
তাতে উঠে ফোটে
পাঠকের মনজুড়ে
তাল লয়ে ছোটে।
ছোটে মানে ছাড়া নয়
গেঁথে থাকে মনে
ঠাঁই করে নেন দেখি
জন থেকে জনে।
তিনি প্রিয় ছড়াকার
প্রাণপ্রিয় জন
‘সুকুমার বড়ুয়া’ যে
একজন হন।
শুভালয়ে সুকুমার
নান্টু বড়ুয়া
দু’টি গাঁয়ের মধ্যি খানে
ছোট্ট ‘ডাউব্ব্যা’ খাল,
জলের দিকে নুইয়ে থাকে
জারুল গাছের ডাল।
সেই খালটির জল টুবটুব
সোঁতের মৃদু টান,
সিপন মাঝি নাও বেয়ে যায়
কণ্ঠে মধুর গান!
দু’টি গাঁয়ের নেই তুলনা
নেই কোনো আর জুড়ি,
আমার গ্রামটি ইদিলপুর আর
ওনার বিনাজুরী।
সবুজ লতায় গাছের ছায়ায়
মায়াবি সেই গ্রাম,
পরিপাটি গোছালো ঘর
শুভালয় যার নাম।
শুভালয়ে থাকেন তিনি
জয় করে দুখ, মার
ছড়া সম্রাট খ্যাত হলেন
কবি সুকুমার।