এরই নাম শরৎ
শাহীন খান
ঝিকমিক করে সোনা রোদ্দুর
ভালো লাগে চোখ যায় যদ্দুর
মেঘমালা ছুটে যায় দূরে
পাখিরা খেলা করে উড়ে।
কাশ যত ফুটে রয় কূলে
ঝাউবন ওঠে দুলে দুলে
পানকৌড়ি, হাঁসেদের মেলা
দিঘি জলে করে শুধু খেলা।
মাঝি মুখে গান লাগে ভালো
উবে যায় মন থেকে কালো
কৃষাণির ঘরে আসে হাসি
দূর গাঁয়ে বেজে চলে বাঁশি।
রাতটুকু ভালো লাগে কী যে
জোছনায় যাই শুধু ভিজে
জোনাকিরা মিটিমিটি জ্বলে
সুখ সুখ লাগে হিয়া তলে।
এরই নাম শোন খোকা শরৎ
যার বুকে জমা থাকে দরদ
অনাবিল লাগে তার রেশ
রংয়ে রূপে সাজে গোটা দেশ!
তালের বড়া
শচীন্দ্র নাথ গাইন
ভাদ্র মাসে যেই ধুপধাপ শব্দ আসে কানে
তালতলাতে ছুটতে তখন মন বারেবার টানে।
কিন্তু উচিত নয় বেশিক্ষণ তালতলাতে থাকা
যখন-তখন তলায় পড়ে তাল যদি হয় পাকা।
পাকা তালে হয় তৈরি প্রিয় তালের বড়া
দেখলে কাছে না পেলে তা যায় না মোটেই নড়া।
লোভনীয় তালের বড়ার থাকলে থালা পাশে
সুগন্ধি তার ঢুকলে নাকে জিভ পানিতে ভাসে।
তালের বড়া টাটকা তাজা পায় যদি কেউ হাতে
মুখ দেখে তার খুব বোঝা যায় খুশির চোটে মাতে।
অতি মুখরোচক খাবার গরম গরম পেলে
খিদে পেটে থাক বা না থাক কেউ দেবে না ঠেলে।
চালের গুঁড়া মিশেল দিয়ে বানালে মা-কাকি
রান্না ঘরের দিকে চেয়ে সবাই বসে থাকি।
মচমচে তা বাইরে তবু ভেতরে তুলতুলে
খাওয়ার মজা যে পাবে তার স্বাদ যাবে না ভুলে।
খোকন ভালোবাসে
মাসুম হাসান
খোকাবাবু ভালোবাসে
পড়াশোনা করতে,
ভালোবাসে দীঘিজলে
ডিঙি নায়ে চড়তে।
গানে-গানে খোকাবাবু
ভালোবাসে নাচতে,
প্রজাপতির পিছু ছুটে
খিলখিলিয়ে হাসতে।
ঝিকিমিকি তারাজ্বলা
পূর্ণিমা রাতটা –
ভালোবাসে খোকা চাঁদের
হাতছানি ডাকটা।
সবচেয়ে বেশি ভালো
বাসে খোকা মা’কে,
ভালোবাসে বাবা-মায়ের
স্নেহ-মমতাকে।।
সেন্টমার্টিন
অপু বড়ুয়া
নীল সাগরের বিশাল নীলের মাঝে
কে পরালো একটি সবুজ টিপ
টিপ নয় সে, হঠাৎ কোনো সাঁঝে
জন্ম নিল সেন্টমার্টিন দ্বীপ।
নীল সায়রের উথালপাতাল ঢেউ
ঢেউ নয়রে গর্জে ওঠা ফেউ।
ফেউয়ের ভয়ে পাহাড় ঠেলে ঠেলে
সেন্টমার্টিন দাঁড়ায় হৃদয় মেলে।
সেন্টমার্টিন স্বপ্ন মায়ার দোল;
জড়িয়ে থাকে বাংলা মায়ের কোল।