সবকিছু তো তাঁর জন্য
লিটন কুমার চৌধুরী
সুখপাখি তুই অনেক দুরে থাকিস
খুঁজতে খুঁজতে পাই না আমি তোরে,
আমার বাবার দেখা হলে বলিস্
আমি এখন যাচ্ছি অচিনপুরে।
আমায় নিয়ে চিন্তা বাবার থাকে
ভালোবাসায় বাধে চিরকাল,
বৃষ্টি ঝড়ে আঁকড়ে শুধু রাখে
কখন আবার হবে যে সকাল।
বাবা আমার আছেন মনে-প্রাণে
বাবার জন্য মনটা কেমন করে,
বাবার জন্যে মনের গহীন কোণে
দুঃখগুলো অশ্রু হয়ে ঝরে।
আমার কাছে বাবা অনেক ভালো
ছিলেন, আছেন, থাকা নিত্যদিন
সকল কিছুই তার জন্য হলো
সময় আমার অনেকটা রঙিন।
বাবা আমার আকাশ তারা হয়ে
মাথার ওপর রেখেছেন সেই হাত
মনের মাঝে শক্তি সাহস পেয়ে
এগিয়ে যেতে কাটাই দিবস- রাত।
মা জানতো
আনোয়ারুল হক নূরী
মেঘের সাথে হাঁটি আমি
মেঘের সাথে থাকি।
মেঘের ঝাঁকায় বসে আমি
উড়ছি হয়ে পাখি ।
মা বোঝে না আমার মনে
কাজল মেঘের ছায়া ।
আঁকত যদি মায়ের চোখে
উড়াল মেঘের মায়া ,
মা জানতো কেন আমি
মেঘ কে এত ডাকি ।
মেঘের খাটে সূর্য ঘুমায়
কুড়িয়ে রোদের ডানা ।
বৃষ্টি এসে খাট ভেঙে দেয়
অবাক কাণ্ডখানা ।
সূর্যটাকে লুকিয়ে রেখে
মায়ের চোখে স্বপ্ন মেখে
রাত্রি দিতাম আঁকি ।
বুঝতো তখন সূর্যটাকে
কেন বুকে রাখি ।
সোনালী ধান
সারমিন চৌধুরী
সকাল বেলা মিষ্টি সুরে
গাইছে পাখি গান,
মাঠ থেকে আসছে ভেসে
পাকা ধানের ঘ্রাণ।
যাচ্ছে ছুটে ধান কুড়াতে
শালিক, ময়না, টিয়ে,
দেখে চাষি বসে আছে
হাতে কাস্তে নিয়ে।
কিচিরমিচির করে তারা
বসে গাছের ডালে,
মাঠ ভরা সোনালী ধান
দোলে হাওয়ার তালে।
পাখির মনে চাষির মনে
জেগেছে যে সুখ,
সোনার ধান দেখে মাঠের
জুড়িয়ে গেল বুক।