স্মরণ সভার শহিদ মিনার
মোশতাক আহমেদ
পলাশ শিমুল কৃষ্ণচূড়া
তোমরা সেদিন ফুটেছিলে-
রক্ত লেখা বুকের মাঝে,
ফেব্রুয়ারির সেই মিছিলে?
ফাগুন দিনে আগুন লাগে
রক্ত কণিকাতে
মিছিল চলে- স্লোগান তুলে
অগ্নি মাশাল হাতে।
আসবে খোকা আশায় চেয়ে
দু’চোখ মায়ের ভাসে
খোকার ছবি হৃদয় জুড়ে
বিষন্ন ক্যানভাসে।
খোকার জন্যে মনটা ব্যকুল
পথ চেয়ে মা থাকে
অশ্বথ গাছের ডালে বসে
সাঁঝপাখি রোজ ডাকে।
হরেক রকম রান্না করে
ভাজছে হুড়ুম খই
বিন্নি ভাজা মন্ডা মিঠাই
গামছা বাঁধা দই-
এসব নিয়ে মা যে আমার
রোজ করে হৈ চৈ
ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ
খোকা এলো কই?
নিমপাখিটা উঠল ডেকে
জারুল পাতা নড়ে
সেদিন থেকে খোকনসোনা
আর ফেরেনি ঘরে।
হৃদয়পটে থাকবে আঁকা
শহিদ ভাইয়ের স্মৃতি
স্মরণ সভার শহিদ মিনার
আমাদের সম্প্রীতি।
একুশ আমার বর্ণমালা
নূর নাহার নিপা
প্রভাতফেরির যে ফুল ফোটে
কৃষ্ণচূড়ার ডালে
শিল্পী আঁকেন শহিদ মিনার
বর্ণ রক্তলালে।
মাতৃভাষায় কাব্য লিখে
কবির যত আশা
বর্ণমালার জন্য আমার
ততই ভালোবাসা।
একুশ আমার স্বপ্ন আঁকা
অহংকারের নাম,
একুশ আমার মায়ের ভাষা
রক্তই তার দাম।
একুশ আমার বর্ণমালা
ভালোবাসার চাষ,
একুশ আমার হাসির ঝিলিক
সৃষ্টিতে উল্লাস।
একুশ মানে
সুশান্ত কুমার দে
একুশ মানে মুক্ত হাওয়ায় উড়ন্ত এক পাখি
একুশ মানে রক্ত দিয়ে বর্ণ আঁকাআঁকি।
একুশ মানে পলাশ-রাঙা একটা জবা ফুল
একুশ মানে খুঁজে ফেরা একটা জাতির কূল।
একুশ মানে ভয় শূণ্য সূর্যসেনার দল
একুশ মানে এক সাগর অশ্রু ভরা জল।
একুশ মানে পূর্বাকাশে রাঙানো এক রবি
একুশ মানে বাংলা ভাষার উদ্দীপ্ত এক ছবি।
একুশ মানে সবুজ বনের একটা বড় ঝড়
একুশ মানে স্বপ্ন দেখা, একটা সুখের ঘর!