স্বপ্নপরি
সৈয়দ খালেদুল আনোয়ার
কী মজা মা কী মজা! কালকে আমার ছুটি
কালকে না হয় ঘুমের থেকে একটু দেরি উঠি?
স্বপ্নপরি আসে যখন দিতে আদর চুম
ইশকুল টাইম হলো ওঠো, বলে ভাঙাও ঘুম।
তোমার ডাকে লজ্জা পেয়ে পরিরা যায় উড়ে
কান্না নামে বৃষ্টি হয়ে আমার দুচোখ জুড়ে।
শুধু পড়ালেখায় আমার দিনগুলো যায় কেটে
স্বপ্নপরির সাথে খেলার সাধ কি আমার মেটে?
পরির রাজ্য রূপ ঝলোমল, বলেছো মা আগে
পরির রাজ্য বেড়িয়ে আসার ইচ্ছেটা তাই জাগে।
ছুটির দিনে থাকবো মাগো দীঘল ঘুমে মজে
পরিকে আর ঘুমে বিদায় দেবো না সহজে।
স্বপ্নপরির পাখায় বসে ঘুরবো রানির বেশে
আমায় তুমি দেখবে মাগো স্নেহের হাসি হেসে।
সুতপার জন্য ছড়া
ইকবাল বাবুল
অফিস থেকে বাসায় ফেরেন যখন আমার বাবাটা
বুঝতে পারি বাবার বুকে অনেক স্নেহের ভাব আঁটা
যা – যা বলি আনেন তিনি , এনেই রাখেন সম্মুখে
একটু একটু হাসেন তবে কথা বলেন কম মুখে
আমি বাবার শার্ট খুলে দিই, দিই যে খুলে জুতো পা’র
বাবা বলেন – মঙ্গল হোক আমার মেয়ে সুতপার ।
আমি কিনতু ভীষণ খুশি
খুশিতে সেই আঙুল চুষি
জড়িয়ে ধরি মায়ের গলা, মা’র থেকে পাই আদর আমি
মা বলে তুই – ছেলের মতো কই শিখেছিস বাঁদরামি ?
আমার মা-টি অনেক ভালো
মুখজুড়ে তার চাঁদের আলো
অবাক হয়ে ভাবতে থাকি মুখটি চাঁদের কনা মা’র
তার সে হাতের স্নেহের ছোঁয়ায় যায় ভরে যে মন আমার।
ভাল্লাগে না মা-কে ছাড়া
মা’র ডাকে পাই প্রাণের সাড়া
আনন্দে তাই বুকের ভেতর উতলে ওঠে ভাব আমার
সত্যি আমি অনেক অনেক প্রিয় আমার বাবা – মা’র ।
ভুল
হাসনাত আমজাদ
সকাল হতেই ছুটোছুটি, ক্লাসে যাবার তাড়া
বাসে ওঠার পরে দেখি- নিইনি গাড়িভাড়া।
হায় হায় হায়! কী যে করি
কন্ডাকটরের হাত-পা ধরি?
না না না না, কী করে হয়!.
ঘুরছে মনে লজ্জা ও ভয়
মা বলেছেন- ‘প্রয়োজনে বড়র কাছে যেও’
ওটাই বরং শ্রেয়।
চলছে গাড়ি জোরে
হাঁটতে থাকি ধীরে ধীরে, পা-পা, পা-পা করে।
বড় মানে চালক সাহেব, বলব তাকে কিছু?
লজ্জা-শরম ঝেড়ে দাঁড়াই সামনে সিটের পিছু
দিলাম সালাম, ‘ড্রাইভার ভাই
পকেটে আজ কিচ্ছুটি নাই
যা আছে সব মানিব্যাগে, আনতে গেছি ভুলে
ইশকুলে কি নামিয়ে দেবেন দরজাখানা খুলে?’
থামল গাড়ি, থ্যাংকু বলে যেই দিয়েছি হাঁটা
অবাক চোখে তাকিয়ে দেখি জুতোতে নেই পা’টা।
আলগা করে বেঁধেছিলাম ভুলে জুতোর ফিতে
ও মা দেখি, ভুলেছি আজ ছাতাখানাও নিতে।
বৃষ্টি নামে, ভিজি
ভুলের খেসারত দিতে হয়, নয় সেটা খুব ইজি।