নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁশখালী »
বাঁশখালীর কালীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম গুনাগরীতে একটি বাড়িতে চুরির ৫ মাস পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ১৫ ভরি ১৩ আনা ৩ পয়েন্ট স্বর্ণালংকারসহ দুই চোরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। যার আনুমানিক মূল্য ১২ লাখ টাকা। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরা হলো লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি মৌলভী পাড়ার মো. ইয়াহিয়া প্রকাশ ইয়াছিন প্রকাশ জাহাঙ্গীর এবং সাতকানিয়ার কড়াইয়ানগর ইউপি’র ঠাকুর দিঘীর পাড়ের বণিক পাড়ার বিপ্লব ধর।
উদ্ধার স্বর্ণালংকারগুলো চকরিয়া উপজেলার বাবুল ধরের স্বর্ণের দোকান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বাঁশখালী থানার এস আই রাজীব পোদ্দার জানান, ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর কালীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম গুনাগরী গ্রামের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হানিফ মাহমুদের বাড়িতে লোকজন না থাকার সুযোগে আলমারি ভেঙে একটি সংঘবদ্ধ চোরের দল ২০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ৪ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ওই সময় মোহাম্মদ হানিফ বাদি হয়ে একটি চুরির মামলা করেন। ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজও থানায় প্রেরণ করা হয়।
সম্প্রতি কালীপুরে আরেকটি চুরির ঘটনা ঘটলে হাতে নাতে চোর মো. ইয়াহিয়া প্রকাশ ইয়াছিন প্রকাশ জাহাঙ্গীরকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তার স্বীকারুক্তি এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে বাড়ির মালিক মোহাম্মদ হানিফ মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে চকরিয়ার স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিপ্লব ধরের দোকানে তল্লাশি চালিয়ে চোরাই ১৫ ভরি ১৩ আনা ৩ পয়েন্ট স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১২ লাখ টাকা হবে। গ্রেফতার দুই চোরের ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের জন্য তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিপ্লব ধর পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন চোরের কাছ থেকে স্বর্ণালংকার কিনে আসছেন। বাড়ির মালিক মোহাম্মদ হানিফ মাহমুদ বলেন, আমার বাড়ির চোরাই স্বর্ণালংকার উদ্ধার হবে কখনো বিশ্বাস করতে পারিনি। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আন্তঃজেলার প্রকৃত চোরকে ধরে ২০ ভরির মধ্যে যে ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করতে পেরেছে তা দৃষ্টান্তমূলক।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামাল উদ্দীন পিপিএম জানান, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলার প্রকৃত চোরকে চিহ্নিত করে স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে স্বর্ণালংকারগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।