সুপ্রভাত ডেস্ক »
সীতাকু- উপজেলায় শরীরে ক্ষত নিয়ে পরপর তিনদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বানরটি মারা গেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কার্যালয়ে বানরটি মারা যায়। খবর ঢাকা পোস্টের।
চট্টগ্রামের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য বলেন, ৪ সেপ্টেম্বর সীতাকুণ্ড থেকে বানরটি আনা হয়। আমাদের কার্যালয় থেকে বানরটিকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) হাসপাতালে নিয়ে ৪, ৫ ও ৭ সেপ্টেম্বর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। কোনোভাবে বৈদ্যুতিক শকের কারণে তার শরীরে গভীর ক্ষত হয়েছিল। যে কারণে চেষ্টা করেও বানরটিকে বাঁচানো যায়নি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে বানরটি এক প্রকার খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয়। শুক্রবার বানরটি মারা যায়।
জানা গেছে, ২ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো অসুস্থ বানরটি সীতাকু- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। ওই সময় বানরের শরীরের পেছনের অংশে একটি গভীর ক্ষত দেখা যায়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকরা বানরটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। চিকিৎসা শেষে বানরটি হাসপাতাল থেকে চলে যায়। পরদিন বিকেলে বানরটি পুনরায় হাসপাতাল এলাকায় আসে। ওই দিন বানরটিকে ড্রেসিং করে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়। এরপর বানরটি আবার হাসপাতাল থেকে চলে যায়।
তারপর তৃতীয় দিনের মতো ৪ সেপ্টেম্বর সকালে পুনরায় বানরটি হাসপাতালে আসে। সেদিনও বানরটিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে বানরটির শরীরের ক্ষত গুরুতর হওয়ায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের খবর দেওয়া হয়। তারা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সহায়তায় বানরটি ধরে নিয়ে যান। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে ব্যান্ডেজ খুলে বানরের শরীরে গুরুতর ক্ষত দেখতে পান কর্মকর্তারা।
ওইদিন বিকেলে বানরটিকে নগরীর ষোলশহর এলাকায় অবস্থিত বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে রেখে সিভাসু হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে বানরটিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল।