সুপ্রভাত ডেস্ক :
দেশের মধ্যে সংক্রমণের শীর্ষে মহারাষ্ট্র। আরও পরিষ্কার করে বলতে গেলে মুম্বইয়ের নামই উঠে আসে। রোজ হাজার হাজার আক্রান্ত ধরা পড়ছে। কোভিড ১৯-এর আবহে একদিকে যখন গোটা মুম্বই শহরজুড়ে হাসপাতালে বেডের হাহাকার, তখন ১ মাস ধরে কেন ফাঁকা পড়ে রয়েছে শাহরুখ খানের দেওয়া ৪তলা অফিস বিল্ডিং? প্রশ্ন তো উঠবেই। এমনকী স্থানীয়রাও প্রশাসনের এমন উদাসীনতায় বিক্ষুব্ধ।
চিকিৎসক দিতে পারেনি বৃহন্মুম্বই পুরসভা। তাই বন্ধ! শোনা গেল এমন কথাই। গত ২৪ এপ্রিলই বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশনের হাতে অফিসের চাবি তুলে দিয়েছিলেন শাহরুখ-গৌরী। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি-সহ ২২ শয্যার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। তবুও অব্যবহৃত? অনেকেই বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশনকে দুষছেন। উল্লেখ্য, মুম্বইয়ের খার ওয়েস্টের সিডি মার্গে শাহরুখের রেড চিলির অফিস। সেই অঞ্চলেই এখনও অবধি ৪৫০ জন করোনা আক্রান্ত। আর কোভিডে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬০ জনের। একদিকে হাসপাতালে বেড না থাকায় অনেককেই চিকিৎসার জন্য বেগে পেতে হচ্ছে। ফলে, দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মুম্বইয়ের বাসিন্দারা। খার অঞ্চলেই যখন মারণ ভাইরাস একপ্রকার তা-ব দেখিয়ে চলেছে, তখন কেন শাহরুখের দেওয়া অফিস কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জন্য ব্যবহৃত হল না? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
বৃহন্মুম্বই পুরসভার হাতে তুলে দেওয়া হলেও কেন ১ মাস ধরে অব্যবহৃত ছিল রেড চিলির অফিস? এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কাছে শাহরুখ নিজে না মুখ খুললেও খার অঞ্চলেরই এক কংগ্রেস নেতা আসিফ জাকারিয়া জানিয়েছেন, ইগঈ এই মুহূর্তে চিকিৎসক দিতে পারছে না। এদিকে গোটা শহরে যখন হাসপাতালের বেডের জন্য হাহাকার লেগে গিয়েছে, তখন শাহরুখের দেওয়া ৪তলা বিল্ডিং যেখানে ২২জনের আয়োজন করে দিয়েছিলেন গৌরি খান নিজে, সেটিও ব্যবহার করা হল না! প্রশাসনের উচিত এই ব্যাপারে নজর দেওয়া। অন্যদিকে সূত্রের খবর, শাহরুখ নিজেও বৃহন্মুম্বই পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এই বিষয়ে।
১ মাস ধরে রেড চিলির অব্যবহৃত অফিস নিয়ে বিস্তর শোরগোলের পর অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে বিএমসি। ৩০ মে অর্থাৎ আজ থেকেই শাহরুখের অফিস কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে কাজ শুরু হয়েছে।
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।
বিনোদন