দুই মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম কক্সবাজার ট্রেন: রেলমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, ‘আগামী দুই মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের কমিউটার ট্রেন চালু হবে। ইঞ্জিন সংকটের কারণে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত এখন নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’ নতুন কালুরঘাট সেতুর ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা নির্মাণে চার-পাঁচ বছর সময় লাগবে। আমাদের সমীক্ষা শেষ। কোরিয়ান অর্থায়নে কালুরঘাট ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
গতকাল বুধবার দুপুর দু’টায় নগরীর সিআরবিস্থ অফিসার্স গেস্ট হাউসে রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন ।
রেলমন্ত্রী লোকবল ও ইঞ্জিন সংকট নিরসনে তার উদ্যোগের ব্যাপারে বলেন, আমাদের ইতিমধ্যে সহকারী স্টেশন মাস্টার ও সহকারী লোকোমোটিভ মাস্টার পদে প্রায় সাড়ে পাঁচ’শ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জনবল বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। আমরা সেখান থেকে রিক্রুট করে তাদের ট্রেনিং দেব।
তিনি আরও বলেন, রেল তো একসময় বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা ছিল। আমাদের এলাকায় ফরিদপুরে লাইন বন্ধ করে দিয়েছিল। ভাটিয়াপাড়া রেললাইন তুলে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। রাজবাড়িতে লোকোশেড ছিল একটি। সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অনেককে গোল্ডেন হ্যান্ডশেইক দিয়ে অবসরে পাঠানো হয়েছে। এ দক্ষ জনবল তো আমরা এখন পাবো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর রেলের অনেক শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে। নতুন নতুন লাইন সংযোজন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা, প্রত্যেকটি জেলা রেলের সঙ্গে সংযোগ করা এবং যতদূর সম্ভব জনগণকে সুলভে যাতায়াতের সুযোগ করে দেওয়া। রেলকে আমরা সেভাবে করার চেষ্টা করছি।’
বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন করার আগেই তিনি বলেন, ‘মাত্র কয়েকদিন হলো আমি রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছি। আমি এখনও শিক্ষানবিশ অবস্থায় আছি। তাই কোনো প্রকল্প নিয়ে কোনো কিছু বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন রেল নিয়ে তার যে আকাক্সক্ষা, সেগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য। সকলের সহযোগিতা পেলে সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব হবে। রেলকে পঙ্গু অবস্থা থেকে প্রধানমন্ত্রী এ অবস্থায় তুলে এনেছেন।
আউটর্সোসিং স্থায়ী সমাধান নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেকের বয়স হয়ে গেছে। তারা আর কাজ করতে চায় না। এসমস্ত কারণে আগে যিনি মন্ত্রী ছিলেন তিনি আউটসোর্সিং এর চেষ্টা করেছেন। আউটসোর্সিং তো স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা না। কিছু কিছু জায়গায় বেনিফিট পাওয়া যাচ্ছে। তবে কারিগরি কোনো বেনিফিট হচ্ছে বলে আমার মনে হয় না। এখানে লোকবল ও ইঞ্জিন সংকটের কিছু বিষয়ে আমি অবগত হয়েছি। রেলকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে পাঁচ হাজারের বেশি লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। অনেকগুলো ইঞ্জিন ও কোচ আমদানি করা হচ্ছে। কিছু আমদানি হয়েছে। সেগুলো আমরা পেয়েছি। আরও কিছু ইঞ্জিন আমদানি করা হচ্ছে। ১৫টি কোচ আমরা পেয়ে গেছি। আরও কিছু আসবে। এসব ইঞ্জিন রেল বহরে যুক্ত হলে রেলে ইঞ্জিন সংকটে দূর হবে।’