সুপ্রভাত ডেস্ক »
একুশে পদকপ্রাপ্ত চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের মৃত্যুর ২৯ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো তার মৃত্যুর রহস্য উন্মোচিত হয়নি। পথে পথে ঘুরে খবরের পেছনে থাকা এ সাংবাদিকের মৃত্যুর নেপথ্যে কোনো ষড়যন্ত্র ছিল কি না, তা উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন সংবাদিক নেতারা।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব ও রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন-আরপিইউজের উদ্যোগে ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় সাংবাদিক নেতারা এ দাবি তোলেন।
সাংবাদিকরা বলেন, রংপুরের কৃতি সন্তান মফস্বল সাংবাদিকতার দিকপাল চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিনের লেখনিতে উঠে এসেছিল গ্রাম-বাংলার অজানা অনেক কথা। সততা, ধৈর্য্য আর অসীম সাহসিকতাকে পুঁজি করেই তিনি সাংবাদিকতায় দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। যার কারণে তার লেখনিতে পাঠকরা ছিল সব সময় জাগরিত সমাজের একাংশ। খবরের পেছনে থাকা খবর সংগ্রহ করে লিখতেন যিনি। এটাই যার নেশায় রূপ নিয়েছিল। যা ছিল দেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে এক নতুন মাত্রা। তিনি একজন সফল গবেষকও ছিলেন। তবে তার মৃত্যুর পর সরকারের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হলেও ২৯ বছরেও রহস্য উদঘাটিত হয়নি।
দ্রুত সময়ের মধ্যে তার উন্মোচন মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনের দাবি জানানো হয়। এছাড়া তার স্মৃতি সংরক্ষনে উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদিকতার মহাপ্রাণ মোনাজাত উদ্দিন ১৯৯৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর ফুলছড়ি থানাধীন যমুনা নদীতে কালাসোনার ড্রেজিং পয়েন্টে দুইটি নৌকাডুবির তথ্যানুসন্ধান করতে অসুস্থ শরীর নিয়ে যাত্রা শুরু করেন গাইবান্ধায়। যাওয়ার পথে ‘শেরেবাংলা’ নামক ফেরিতে তিনি দুর্ঘটনায় পড়েন। ফেরির ছাদ থেকে হঠাৎ করেই পানিতে পড়ে যান তিনি। স্থানীয় নৌকার মাঝিরা তাকে উদ্ধার করতে পারলেও তাকে বাঁচানো যায়নি।
রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সহসভাপতি সাঈদ আজিজ চৌধুরীর সভাপতিত্ব ও রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন-আরপিইউজের সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইউনিয়নের সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক। আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র সাংবাদিক মাহবুবুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির মানিক, কামরুল ইসলাম চুন্নু, নুর হাসান চান, রেজওয়ান রনি, মেজবাহুল হিমেল, সেলিম সরকার।