চাক্তাইয়ে নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল রাজাখালী খালে
সুপ্রভাত ডেস্ক
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসংলগ্ন চাক্তাই খালে নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে আধা কিলোমিটার দূরের রাজাখালী খাল থেকে।
বুধবার ভোর ৬টার দিকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয় বলে নগরীর আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন জানান।
পুলিশ বলছে, লাশ উদ্ধার হলেও আনুমানিক আট বছর বয়সী ওই শিশুর পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। খবর বিডিনিউজরে।
বাকলিয়া থানার ওসি আফতাব হোসাইন বলেন, “ভাটার কারণে রাজাখালী ১৪ নম্বর গলির খালে ওই শিশুর লাশ আটকে ছিল।”
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নতুন ফিশারি ঘাট সংলগ্ন চাক্তাই খালের স্লুইচ গেইট সংলগ্ন পানিতে সাঁতার কাটার সময় শিশটি তলিয়ে যায়।
ওসি হোসাইন বলেন, “শিশুটির তলিয়ে যাবার খবর পাওয়ার পর থেকে আমরা অভিভাবকের খোঁজ করছিলাম, কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধারের পরও স্থানীয় লোকজন কেউ শিশুটিতে চিনতে পারছে না।”
চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের সাব অফিসার জসীম উদ্দিন বলেন, “গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত খালে আমাদের ডুবুরি দল তল্লাশি চালিয়েছে। শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। সকাল ৬টার দিকে লাশ দেখা যাওয়ার খবর শুনে আমরা রাজাখালী যাই।
“জোয়ারের পানি নদী থেকে চাক্তাই স্লুইচ গেইট দিয়ে রাজাখালী খালে প্রবেশ করে। শিশুটি পানিতে রাজখালীর দিকে চলে যায়।”
নিখোঁজের জায়গা থেকে লাশ উদ্ধারের স্থানের দূরত্ব প্রায় আধা কিলোমিটার হতে পারে বলে ফায়ার স্টেশনের এই কর্মকর্তা জানান।
মঙ্গলবার বিকালে ঘটনার পরপর স্থানীয় লোকজন কখনো দুই জন আবার কখনো একজন শিশু নিখোঁজের কথা বললে বিভ্রান্তি শুরু হয়। ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশও নিখোঁজের সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেনি সে সময়।
তখন ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন বলেন, “স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে দুই শিশু নিখোঁজ হওয়ার পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। কেউ বলছে দুই জন পানিতে নেমেছে, একজন উঠলেও আরেকজন উঠতে পারেনি। আবার কেউ বলছে দুইজনই নিখোঁজ হয়েছে। ”
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে বাহাদুর নামের স্থানীয় এক মাছ বিক্রেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ বিকাল ৪টার দিকে আমরা দুই জন নদীতে গোসল করছিলাম। এসময় দুই মহিলা আমাদেরকে একটি শিশু পানিতে ডুবে যাচ্ছে বলে জানায়। আমরা গিয়ে পানিতে নেমে শিশুটিকে পানি থেকে টেনে তোলার চেষ্টা করি। কিন্তু পানির টানের কারণে তাকে তুলে আনতে পারিনি।”
বাহাদুরের ভাষ্য, শিশুটি তার হাত থেকে ছুটে পানিতে তলিয়ে গেছে। এরপর চাক্তাই খাল ও স্লুইচ গেইট এলাকায় তল্লাশি চালায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
আর পুলিশ জানিয়েছিল, স্থানীয়রা শিশুর তলিয়ে যাওয়ার যে সময়ের কথা বলেছে, তখন নদীতে জোয়ার ছিল।
বাকলিয়া থানার ওসি আফতাব হোসাইন বলেন, “ ওই সময় স্রোত থাকে না। নদী থেকে পানি রাজাখালী খালের দিকে প্রবেশ করে।”