নিজস্ব প্রতিনিধি, মিরসরাই »
মিরসরাইয়ে চাহিদামত চাঁদা না পেয়ে দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ঠিকাদারের ভাইকে পিটিয়ে জখম করে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে নগদ অর্থসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয়া হয়। রোববার (৬ জুন) রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ জোরারগঞ্জ থানাধীন ৬ নম্বর ইছাখালী ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধু অথনৈতিক অঞ্চলের ভাবির দোকান এলাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ এবং সোহেল ট্রেডার্সে এই হামলা চালানো হয়। পরে জোরারগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী সোহেল।
ভুুক্তভোগী টের্ডাসের মালিক আনোয়ার হোসেন সোহেল বলেন, গত ৫ বছর যাবৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে সরকারি ও বিভিন্ন কোম্পানি হয়ে ঠিকাদারি কাজ পরিচালনা করে আসছি। কয়েক মাস যাবৎ স্থানীয় ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুস সামাদ প্রকাশ ছালেক মেম্বার ও ছাত্রলীগ নেতা ওয়াসিম আকরাম শাকিল আমার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল। আমি কয়েক দফায় ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছি। কিন্তু রোববার রাতে আবারো চাঁদা চাইতে এলে আমার ভাই প্রতিবাদ জানায়। এসময় আমার ছোট ভাই রাকিবকে মারধর ও আমার ঠিকাদারি কার্যালয় ব্যাপক ভাঙচুর করে নগদ ৪ লাখ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি জোরারগঞ্জ থানা পুলিশকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
এদিকে ভাই ভাই এন্ট্রাপ্রাইজের মালিক জয়নাল আবেদীন নশা ও মোজাম্মেল হোসেন জানান, একই দিন চাঁদা না দেয়ায় তাদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে হামলা করে শাকিল ও ছালেক মেম্বার। এর আগে কয়েক দফায় ৪ লাখ টাকা চাঁদা দিয়েছেন বলে দাবি করেন জয়নাল ও মোজাম্মেল।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সোমবার বিকালে ছাত্রলীগ নেতা ওয়াসিম আকরাম শাকিলের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া য়ায়।
এ বিষয়ে ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা বলেন, চাঁদা দাবির কোন ঘটনা আমি জানি না। তবে রোববার সোহেলের ভাইকে কে বা কারা মেরেছে বলে আমি শুনেছি।
এ বিষয়ে চানতে চাইলে অথনৈতিক অঞ্চল পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক হাবিব বলেন, হামলার ঘটনা আমার জানা নেই। তবে সোহেলের ভাই রাকিবকে মেরেছে বলে শুনেছি।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জাহেদ হোসেন বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলের মারামারির ঘটনার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।