সালাহ উদ্দিন সায়েম :
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) পরিচালনার ভার আগামী ৫ আগস্টের পর একজন প্রশাসকের অধীনে চলে যাচ্ছে। একইভাবে নগরীর ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৪টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড পরিচালিত হবে পরিষদ সদস্যের মাধ্যমে। প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড থেকে একজন করে পরিষদ সদস্য নির্বাচন করা হবে। তারা প্রশাসকের অধীনে থাকবেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বুধবার সুপ্রভাতকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
চসিকের বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও কাউন্সিলরা দায়িত্ব নিয়েছিলেন ২০১৫ সালের ৬ অগাস্ট। সে হিসেবে আগামী ৫ আগস্ট তাঁদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
গত ২৯ মার্চ চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২১ মার্চ নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে ইসি।
স্থগিত হওয়া চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন। এছাড়া সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ৫৫টি পদে ২৬৯ প্রার্থী রয়েছেন ভোটে।
করোনাভাইরাস মহামারির পাশাপাশি অতি বর্ষণ ও পাহাড় ধসের শঙ্কায় ৫ আগস্টের মধ্যে আটকে থাকা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভোট করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ অবস্থায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় চসিকে আইনানুগভাবে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানা গেছে, মেয়রের পদে প্রশাসকের পাশাপাশি কাউন্সিলর পদে বসবে পরিষদ সদস্য। পরিষদ সদস্যদের নিয়ে করপোরেশন পরিচালনা করবেন প্রশাসক।
চসিক নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া বর্তমান কাউন্সিলররা পরিষদের সদস্য হতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। সুপ্রভাতকে তিনি বলেন, নির্বাচনে যারা প্রার্থী হননি আর সাবেক কাউন্সিলররা পরিষদের সদস্য হতে বাধা নেই। এর বাইরেও যে কেউ পরিষদের সদস্য হতে পারবেন।
প্রশাসক প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে পরিষদ সদস্য নির্বাচন করতে পারেন বলে জানান তিনি। রাজনৈতিক সুপারিশে পরিষদ সদস্য নির্বাচন হতে পারে বলে জানান হেলালুদ্দীন আহমদ।
চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ২১ জন বর্তমান কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। আর বিএনপি সমর্থিত ৫ জন বর্তমান কাউন্সিলর নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এবার আওয়ামী লীগের ১৪ জন বর্তমান কাউন্সিলর দলীয় সমর্থন পাননি।
সংরক্ষিত ১৪টি নারী ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ৮ জন ও বিএনপি সমর্থিত ২ বর্তমান নারী কাউন্সিলর নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
এ মুহূর্তের সংবাদ