বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার উদ্বোধন
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বহদ্দারহাট ঐতিহ্যগতভাবে কর্ণফুলী নদীঘেঁষা কাঁচা বাজারসহ একটি প্রাচীন বাণিজ্যকেন্দ্র। দক্ষিণ চট্টগ্রামে উৎপাদিত সবজি ও মাছ-মাংস এই বাজারে পাইকারি হিসেবে বিপণন হয়। এখান থেকেই মহানগরীর বাজারগুলোতে শাক-সবজি, মাছ-মাংস সরবরাহ করা হয়। এতদিন বিভিন্ন কারণে বাজারটির ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণকারীদের মধ্যে অসামঞ্জস্য ছিল। আমি তা উপলব্ধি করে সময়ের সিদ্ধান্ত সময়ে নিতে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় বহদ্দারহাটকে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ কাঁচাবাজার হিসেবে রূপান্তর করলাম। এতে করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আয়ে নতুন মাত্রা সংযোজিত হবে এবং সেবার মান উন্নততর হবে। বাজারটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, ইলেকট্রিক ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক সচল রাখাসহ সার্বিক তত্ত্বাবধান করবে চসিক। তিনি বলেন, যেহেতু এখনও করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব কাটেনি, সেহেতু সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজার-সদাই করতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেষ্ট থাকতে হবে। স্থায়ী ও ভাসমান ব্যবসায়ীদের বাজার শেষে নিজ দায়িত্বে ব্যবসার জায়গা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার তাগিদ দেন মেয়র। বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে সিটি মেয়র বলেন, নগরীতে জনসংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
পাশাপাশি সড়ক, নালা-নর্দমাসহ সবকিছুর ব্যবহারও বাড়ছে। অন্যদিকে নালা-নর্দমাগুলোতে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে তা ভরাট ও বেদখল হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই নগরীর নিম্নাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়ে। তাই গৃহস্থালী ও বাজারের ময়লা-আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলে সিটি করপোরেশনের সেবকদের হাতেই তা দিতে হবে।
গতকাল সকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন। উদ্বোধনকালে ডা. তিমির বরণ চৌধুরী, চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাসেম, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, ভূসম্পদ কর্মকর্তা মো. এখলাস উদ্দিন আহমদ, বহদ্দারহাট বাজার দোকান মালিক সমিতির মো. জানে আলম, সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, নির্মাণকাজের ঠিকাদার তছকির আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ ইসা, বেলাল আহমদ, এস এম মামুনুর রশিদ, আনিসুর রহমান চৌধুরীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি