কর্মশালায় মেয়র
মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেটা নির্দিষ্ট কাজের পরিধির বাইরে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। দেশের অন্য কোন সিটি করপোরেশন এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে না। এই খাতে চসিককে ভর্তুকি দিতে হয়।
আরবান প্রাইমারী হেলথ্ কেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে প্রথম এ সেবা চালু করেন। যা বাংলাদেশের জন্য মডেল হিসেবে কাজ করেছে।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর রেডিসন ব্লু বলরুমে নগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার প্রস্তাবিত রূপরেখা উপস্থাপন বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
মেয়র আরও বলেন, চসিক বর্তমানে ৪১টি ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, পূর্নাঙ্গ মাতৃসদন হাসপাতাল, নার্সিং ইউনিস্টউট, হোমিওপ্যাথিক কলেজসহ একটি জেনারেল হাসপাতাল পরিচালনা করে আসছে। করোনাকালে চসিক কোভিড প্রতিরোধে চিকিৎসা সেবা, ভ্যাকসিনসহ যাবতীয় সুরক্ষাসামগ্রী প্রদান করে আসছে। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবার জন্য ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার ১২টি পয়েন্টে টেস্টিং বুথ ব্র্যাক বাংলাদেশের সহায়তায় কেন্দ্র চালু করেছিল।
সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, বিভাগী স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. শাখাওয়াত উল্লাহ, সিভিল সার্জান মো. ইলিয়াছ চৌধুরী, ডা. সাইদুর রহমান। প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ডা. রিয়াজ মাহমুদ। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালে যুক্ত হন মিস মিরান্ডা বেকম্যান। উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, মো. নুরুল আমিন, মো. ইলিয়াছ, সালেহ আহম্মদ চৌধুরী, জাফরুল হায়দার চৌধুরী, লুৎফুন নেছা দোভাষ বেবী ও তসলিমা বেগম। বিজ্ঞপ্তি