চট্টগ্রাম নগরের সিডিএ অ্যাভিনিউয়ের ফুটপাত দিয়ে হেঁটে আসছিলেন এক তরুণী। মুরাদপুরে জামান হোটেলের সামনে এসে একটি স্ল্যাবে পা রাখতেই তা উল্টে যায়। তখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নালার ভেতরে পড়ে যান ওই তরুণী। তাৎক্ষণিকভাবে আশপাশে থেকে ছুটে আসেন লোকজন। তারা দ্রুত উদ্ধার করেন ওই তরুণীকে। বৃষ্টি না থাকায় নালায় পানি প্রবাহ কম ছিল। সোমবার দুপুর পৌনে তিনটার দিকের ঘটনা। নালায় পড়ে যাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, নালার ওপর যে স্ল্যাব রাখা হয়েছে, তা কংক্রিটের। সেখানে এ রকম তিনটি স্ল্যাব ছিল। হেঁটে আসার সময় তিনটির মধ্যে একটিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে তা উল্টে যায়। আর এতেই তরুণী নালার ভেতরে পড়ে যান। তবে পাশের মার্কেট ও ফুটপাতে থাকা লোকজন দ্রুত এসে ওই তরুণীকে নালা থেকে উদ্ধার করেন। এরপর তরুণী হেঁটে বিপণিবিতানে প্রবেশ করেন। এসময় তাকে ভীত ও আতঙ্কিত দেখাচ্ছিল।
সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘কংক্রিটের স্ল্যাবগুলো ঠিকভাবে বসানো হয়নি বলে ধারণা করছি। কোনো কারণে এক পাশ থেকে এর ‘সাপোর্ট’ সরে গেছে। ফলে পা রাখতেই তা উল্টে যায় এবং তরুণী নালার ভেতরে পড়ে যান।” পুরো বিষয়টি জানার জন্য ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ছয় বছরে চট্টগ্রাম নগরের খাল ও নালায় পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ ৯ জুলাই হালিশহরের আনন্দপুর এলাকায় তিন বছর বয়সী হুমায়রার মৃত্যু হয় নালায় পড়ে।
আমরা বহুবার এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার জন্য লিখেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনা ঘটার পর দু-চারদিন হম্বিতম্বি করলেও স্থায়ী কিছু করেন না। এই তরুণীর সৌভাগ্য তিনি নির্জন ও অন্ধকার কোনো স্থানে দুর্ঘটনায় পড়েননি। এবং সে সময় নালাও পানি বেশি ছিল না। তা না হলে মৃত ১৫ জনের ভাগ্য বরণ করতে হতো তাকেও।
শুধু সেখানে নয় নগরের অনেক ফুটপাত আছে যেখানে একই অবস্থা বিরাজমান। এবং সেখানে এ ধরনের ছোটোখাটো অনেক দুর্ঘটনা ঘটে যার সামান্যই হয়ত প্রকাশ পায়।
আমাদের মনে হয় না নগরের এমন কোনো ফুটপাত আছে যেখানে পথচারীরা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে হাঁটতে পারে।
সিটি করপোরেশন শুধু ফুটপাত বানিয়ে দায়িত্ব শেষ করতে পারে না। সে ফুটপাত নিরাপদ কিনা তা দেখার দায়িত্বও তাদের।
চসিকের অধিকতর নজরদারি দরকার
অনিরাপদ ফুটপাত