সংবাদদাতা, আনোয়ারা »
আনোয়ারা-বাঁশখালী পিএবি সড়কের নিয়মিত যাত্রী মিনহাজুল ইসলাম বলেন, আনোয়ারা চৌমুহনী থেকে বাঁশখালির গুনাগরি ভাড়া ৪০ টাকা কিন্তু শনিবার থেকে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা করে।
এই পথের কক্সবাজার জেলার পেকুয়ার যাত্রী আব্দুর রশিদ বলেন, এমনিতেই চৌমুহনী থেকে পেকুয়ার ভাড়া ১০০ টাকা কিন্তু এখন নেওয়া হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা ।
আনোয়ারা-চন্দনাইশ পিএবি সড়কের নিয়মিত যাত্রী মো. ফিরোজ জানান, আমি মালঘর বাজার থেকে কালাবিবির দিঘির মোড় প্রতিদিন বিশ টাকা দিয়ে আসি আজ বিশ টাকার ভাড়া পঞ্চাশ টাকা নিয়েছে।
শুধু মিনহাজ, রশিদ, ফিরোজ নন, ফিলিংস স্টেশনের গ্যাস বন্ধ হওয়ায় সারা চট্টগ্রামের মতোই অতিরিক্ত ভাড়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আনোয়ারা উপজেলার যাত্রীদের। এদিকে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কম থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্য যেতে বাধ্য হচ্ছেন এই উপজেলার যাত্রীরা।
সরেজমিনে উপজেলা ব্যস্ততম চাতরী চৌমুহনী বাজার, আনোয়ারা সদর ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের মতো রাস্তায় গাড়ির ঝঞ্জাট নেই। যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে একটু-আধটু বাকবিত-া করলেও শেষমেশ চালকদের দাবি করা ভাড়া দিয়ে নিজেদের গন্তব্য পৌঁছাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
নুরুল আলম নামের এক সিএনজি অটোরিকশা চালক বলেন, আগে ৩শ টাকার গ্যাস নিয়ে সারাদিন গাড়ি চালাতে পারতাম। কিন্তু এখন ৬শ টাকার এলপি নিলেও সারাদিন চলে না। তাই খরচ পোষাতে বাধ্য হয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
তারেক হোসেন নামের আরেক অটোরিকশা চালক বলেন, গ্যাসচালিত গাড়ির মধ্যে তেলের সিস্টেম করতে চাইলে ৮শ টাকা খরচ হয় আর এলপি করতে গেলে খরচ হয় ৬শ টাকা। যদি কিছুদিন পর আবার গ্যাস আসে তাহলে পুনরায় গাড়িটাতে অনেক টাকার কাজ করাতে হবে। তাই গ্যাস বন্ধের পর থেকে গাড়িও বন্ধ রেখেছি।
মইজ্জারটেক ফিলিংস স্টেশনগুলোর সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা গ্যস সাপ্লাই পাচ্ছি না গাড়িতে কেমনে দিবো?
গ্যাস সংকটের বিষয়ে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্যাস সংকট সমাধানে কাজ করা হচ্ছে, কয়েকদিনের মধ্যে সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যাবে।