এস এম জুবাইদ, পেকুয়া »
টেকসই সংস্কারের অভাবে পেকুয়ার উপকূলবর্তী অধিকাংশ বেড়িবাঁধগুলো দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত ও চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। ফলে বেড়িবাঁধ কূলবর্তী বসবাসরত বাসিন্দারা চরম ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে আসছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে আগামী বর্ষা মৌসুমে এসব বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছেন তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ’৯১ এর পর বিদেশি সহায়তায় নির্মিত হয় কক্সবাজারের পেকুয়ার রাজাখালী, মগনামা ও উজানটিয়ার বেড়িবাঁধগুলো। সর্বশেষ ৫ থেকে ৬ বছর আগে কুতুবদিয়া চ্যানেলের রাজাখালী ইউনিয়নের অন্তত ১০ কিলোমিটার বাঁধ আংশিক সংস্কার করা হয়। এছাড়া উজানটিয়ায়ও কয়েকটি পয়েন্টে জিও ব্যাগ দিয়ে সংস্কার করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজাখালী ইউনিয়নের বকশিয়াঘোনা এলাকার এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ গত বছর থেকেই ভাঙনের কবলে পড়ে। নেই প্যারাবন, চর বা জিও ব্যাগ। ফলে সাগরের বড় বড় ঢেউ সরাসরি আঘাত হানছে বেড়িবাঁধে, সরে যাচ্ছে মাটি। এভাবে চলতে থাকলে সামনের বর্ষা মৌসুমেই বাঁধটি সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ফলে বঙ্গোপসাগরের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে বসবাসকারী স্থানীয় লোকজনের ঘরবাড়ি, পুকুরের মাছ, চিংড়ি ঘের, লবণের মাঠ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।
এলাকাবাসীরা বলছেন, দ্রুত সংস্কার না হলে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে পুরো অঞ্চল।
এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী বলেন, আমি বান্দরবান পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেছি, তাঁরা এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। অনুমোদন পেলে দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানান। এ নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, বাঁধটি বড় প্রকল্প হওয়ায় বরাদ্দ বেশি লাগবে। বরাদ্দ আসলে কাজ শুরু করা হবে।



















































