নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে দুই শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনায় ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের এক পক্ষের মধ্যে বিত-া ও মারামারি হয়। এর জেরে দুই পক্ষই চকবাজার থানায় অভিযোগ করেন।
পরে বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর চকবাজার থানার গুলজার মোড় এলাকায় ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ডা. ওসমান গণি এবং ছাত্র সংসদের সাহিত্য সম্পাদক সানি হাসনাইন প্রান্তিকের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা।
আহত দুজন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। হামলার ঘটনায় এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের করা মামলায় ২১ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের ১১ জনকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে শুক্রবার বিকেলে আদালত ওই ১১ জনের জামিন মঞ্জুর করেন।
দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণ আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীদের হাতে ছিল। সম্প্রতি ছাত্রলীগের অপর একটি অংশ ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। এ নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে।
আহত ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা সাবেক মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারী এবং বিরোধী পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এর আগে ১৪ জুলাই নওফেল ও সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী চমেক হাসপাতালে বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী দিতে যান। তারা বেরিয়ে যাওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। সেদিন দুই পক্ষের কয়েকজন আহত হন। পরে এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়।
চমেক ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ডা. তাজওয়ার রহমান খান জানান, জাতীয় শোক দিবস এবং সৃষ্ট ঘটনায় মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে আগামী ৬০ ঘণ্টার জন্য কর্মসূচি স্থগিত করেছি। বেধে দেওয়া সময়ের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ন কবীর জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হোস্টেলে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে আশ্বাস চেয়েছেন। তা মনিটর করব। আহত দুজনকে দেখে এসেছি। তারা ভালো আছেন। ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন।