চমেক হাসপাতালে আধুনিক ডায়ালাইসিস সিএপিডি চালু

নিজস্ব প্রতিবেদেক »

কিডনি রোগীদের জন্য ডায়ালিসিস করার আধুনিক পদ্ধতি কন্টিনিউয়াস অ্যামবুলেটরি পেরিটোনিয়াল ডায়ালিসিস (সিএপিডি)। এবার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসাপতালে প্রথমবার সেবাটি চালু হলো। এতে কিডনি রোগীদের ভোগান্তি লাঘব হবে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত শনিবার ( ৪ নভেম্বর) সকালে চমেক হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগে এক রোগীকে প্রথমবার সিএপিডি ডায়ালিসিস সেবা দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিডনি রোগ বিভাগের প্রধান অ্যধ্যাপক ডা. নুরুল হূদা। তিনি বলেন, কিডনি রোগীদের ডায়ালিসিস দেওয়ার আধুনিক পদ্ধতি সিএপিডি। চট্টগ্রাম হাসপাতালে প্রথমবার সেবাটি চালু হলো। এতে এ -ভি ফিস্টুলার প্রয়োজন পড়ে না। সেবা দেওয়ার আগে শুধু পেটের ভেতর একটি রাবার ক্যাথেটার প্রতিস্থাপন করেত হয়। এই ইমপ্ল্যান্ট ডাক্তারই করে থাকেন। পেটের ভেতরে থাকা ওই রাবার ক্যাথেটার দিয়ে দুই লিটার বিশেষ ধরনের বিশুদ্ধ তরল /ফ্লুইড ছয় থেকে আট ঘণ্টা রাখা হয়। এরপর ওই পানি অন্য একটি নলের সাহায্যে বের করে দেয়া হয়।

ছয় থেকে আট ঘণ্টায় পেটের ভেতর পেরিটোনিয়ামের আচ্ছাদন রক্তের ফিল্টারের কাজ করে। এ সময় পেটের ভেতরের আচ্ছাদিত মেমব্রেন পানি দিয়ে শরীরের দূষিত রক্তকে পরিশোধন করে। যা একটি সুস্থ-স্বাভাবিক কিডনি করে থাকে। তবে দুই লিটার পানি সব সময় পেটে রাখতে হয়। রাতে আট ঘণ্টা ঘুমানোর সময়ও তাকে পানি পেটে নিয়ে ঘুমাতে হয়। যদিও এতে ঘুমের কোনো ব্যাঘাত ঘটে না। পানি থাকা অবস্থায় রোগী দৈনন্দিন নানা কাজকর্মও করতে পারে। এই প্রক্রিয়াকেই কন্টিনিউয়াস অ্যামবুলেটরি পেরিটোনিয়াল ডায়ালিসিস বা সিএপিডি বলে।

তিনি আরও বলেন মাথায় রাখতে হবে পেটের ভেতর পরিশোধিত পানি দেওয়ার সময় রোগীর হাত ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। তা না হলে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
খরচের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই সেবাটি নিতে কোনো টাকা হাসপাতাল নেয় না। শুধু ওষুধ এবং ব্যবহৃত ফøুইডটা কিনতে হয়।