নিজস্ব প্রতিবেদক »
সুপ্রভাত বাংলাদেশে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে নারী ‘দালালদের’ সেই সর্দার রিতা চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের নিচতলা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, ১৪ নভেম্বর সুপ্রভাত বাংলাদেশ পত্রিকায় ‘৫ নারী ‘দালালে’ অতিষ্ঠ রোগীরা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়- চমেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে প্রায়ই ‘দালাল’ আটক করা হয়। কিন্ত প্রতিবারই এই ৫ জনের সিন্ডিকেটটি অধরা থেকে যায়।তাদের টার্গেটে থাকে গর্ভবতী নারীরা। টাকা দিয়ে তারা সব ব্যবস্থা করে রাখেন এমনটা দাবি করেছেন হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী।
কারা আছেন এই সিন্ডিকেটে
রিতা চৌধুরী, কৃষ্ণা দে, মমতাজ বেগম, শাহানাজ বেগম এবং রিনা দে। তারা সবাই মধ্যবয়সী। সিন্ডিকেটের সর্দার হিসেবে থাকেন রিতা চৌধুরী। তিনি সব সময় সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত চমেক হাসপাতালের মূল ফটকে থাকেন। আর তাকে সহোযোগিতা করেন মমতাজ বেগম, কৃষ্ণা দে। মূল ফটক দিয়ে যেসব রোগী আসেন তাদের সকলকে তারা হয়রানি করেন। হাসপাতালে ‘এই সেবা নেই, পরীক্ষা নেই’ এসব বলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রোগীদের পাঠান তারা। আর তার বিনিময়ে মোটা অংকের কমিশন পান তারা।’
সিন্ডিকেটের বাকি ২ জন শাহানাজ বেগম এবং রিনা দে দায়িত্ব পালন করেন হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ড গাইনি বিভাগে। যখন রোগীরা রিপোর্ট পরীক্ষার জন্য বের হন ঠিক সেই সুযোগকেই কাজে লাগান তারা। রোগীদের তারা নানা অজুহাতে বাড়তি টাকায় পরীক্ষা করান। অথচ হাসপাতালেই গর্ভবতী নারীদের সকল পরীক্ষা করা হয় বলে দাবি চিকিৎসকদের।
রিতা চৌধুরী (৫৫) সাতকানিয়ার পশ্চিম নলুয়া এলাকার সুভাষ চৌধুরীর স্ত্রী।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক বলেন, হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের নিচতলা থেকে রিতা চৌধুরী নামে এক দালালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি একটি সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে রোগীদের হয়রানির করেন। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে দালাল আটক অভিযান অব্যাহত থাকবে। হাসপাতালে কোনো দালালকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’