চবি প্রতিনিধি »
তুচ্ছ কথা কাটাকাটির জের ধরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এই সিদ্ধান্তকে নিছক লোক দেখানো বলছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অফ রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ বহিষ্কারাদেশ সভা শেষ হওয়ার পর থেকেই কার্যকর হবে। বহিষ্কার চলাকালীন কোনো শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বা অন্য কোনো অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলেও অবস্থান করতে পারবেন না।
বহিষ্কৃতরা হলেন চবি ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী খালেদ মাসুদ, শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আরাফাত রায়হান। তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিএফসির কর্মী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চবি প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার বলেন, বুধবার তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় দোষীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারাদেশ এখন থেকেই কার্যকর হবে।
তবে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তকে লোক দেখানো বলে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু বলেন, বিচারের নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সঙ্গে প্রহসন করেছে। আমরা এ রকম বিচার চাইনি। এটা নিছকই লোক দেখানো। এই বহিষ্কারাদেশ প্রমাণ করে প্রশাসন অপরাধীদের কাছে জিম্মি। মনে হচ্ছে অপরাধীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চেয়ে শক্তিশালী। আমরা এ রায়ে কোনোভাবেই সন্তুষ্ট না। আমরা আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।
প্রসঙ্গত, ১৯ জুন রাতে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি দোস্ত মোহাম্মদকে মারধর করে ছাত্রলীগের ১০-১২ জন নেতাকর্মী। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনা তদন্তে ২০ জুন তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।