চবি সংবাদদাতা »
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ সিএফসি এবং সিক্সটি নাইনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার দুপুর দুইটায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে জড়ায় ‘সিএফসির বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল এবং ‘সিক্সটি নাইন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর অনুসারীরা।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, আহতরা হলেন সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মী ইতিহাস বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাদিম হায়দার, একই শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের মিশো মুমিনুল এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মাহমুদ রাফি। এবং সিএফসির কর্মী ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. আরাফাত। এর মধ্যে গুরুতর আহত নাদিম এবং মুমিনুলকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় ঘটনার সূত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহীদ মিনার এলাকায় সিএফসি গ্রুপের কয়েকজন কর্মী মিলে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মী বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শিহাব আরমান মুনিরকে মারধর করে। এ ঘটনার জেরে গতকাল শুক্রবার দুপুর দুইটার দিকে সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা আরফাত নামে সিএফসির এক কর্মীকে মারধর করে। এরপর পরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হল এবং শাহ আমানত হলের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সিএফসির গ্রুপের নেতা রেজাউল হক রুবেল বলেন, আমাদের এক কর্মীকে মেরেছে সিক্সটি নাইনের ছেলেরা। এটা নিয়ে জুনিয়রদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। বিষয়টি এখন মিটমাট হওয়ার পথে।
সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, যারা আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করছি। আর এসব কাজে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা আমরা নিবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। পুলিশ ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে।
এ মুহূর্তের সংবাদ