চবি প্রতিনিধি »
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড.শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দের পদত্যাগের দাবিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদসমূহের ভিত্তিতে ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কি এভাবেই চলবে?’ শীর্ষক সংবাদ প্রদর্শন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক সমিতি।
মঙ্গলবার দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আব্দুল হক বলেন, ‘এক দেড় বছর যাবত প্রশাসন কর্তৃক শিক্ষক নিয়োগসহ বিভিন্ন দুর্নীতির যে অভিযোগগুলো হয়ে আসছিল আমরা উপাচার্য ও উপ উপাচার্যকে এ ধরনের কাজগুলো থেকে বিরত থাকার জন্য বলে আসছিলাম। আমরা বলেছি ৭৩ এর আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করেন এবং ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখেন।’
আজকে আমরা দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রকাশিত নিউজগুলোর মধ্য থেকে বাছাই করে ৭২ টি নিউজ প্রদর্শন করেছি। এটি একটি আশ্চর্যের বিষয় যে, একটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে এতগুলো সংবাদ বিভিন্ন গ্রহণযোগ্য পত্র-পত্রিকায় এসেছে যে সেগুলো নিয়ে একটা প্রদর্শনীর আয়োজন করা সম্ভব। এ থেকে বোঝা যায় কি পরিমাণ অন্যায্য কর্মকাণ্ড এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে! দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে এত নিউজ করা হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে কিনা সন্দেহ আছে।’
এ প্রোগ্রামের উদ্দেশ্যে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি, আইনের শাসন বাস্তবায়ন, শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশগুলোকে ফিরিয়ে আনার জন্য উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ এবং যোগ্য লোককে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে আজকের এই আয়োজন।’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সমস্যা নিয়ে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদগুলো নিয়ে আজকে আমরা এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি। সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমাদের এই কর্মসূচি চলছে। আমরা ভিসি ও প্রোভিসির পদত্যাগের দাবিতে এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আগামীকালও (্আজ) আমাদের এই কর্মসূচি চলবে এবং সামনে নতুন করে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
এ মুহূর্তের সংবাদ