নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দনাইশ »
সরকার পতনের একদফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে ঘোষিত ৫ বিভাগে রোডমার্চের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে এ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চন্দনাইশ উপজেলায় গাছবাড়িয়া পুরাতন কলেজ গেট এলাকায় কক্সবাজার, বান্দরবান, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া হতে ছেড়ে আসা বিএনপির গাড়ি যেতে বাধা ও গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রথমে বিএনপির নেতাকর্মীরা হাতে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রসহ মিছিল সহকারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজনকে আহত হন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রতিরোধ ও পাল্টা ধাওয়া করে।
একপর্যায়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়ে গাছবাড়িয়া এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এসময় ১৫-২০টি গাড়ি (বাস, মাইক্রোবাস ও মিনিবাস) ভাঙচুর হয়। কয়েকজন আওয়ামী লীগ, বিএনপি কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হন। অপরদিকে উপজেলার বাগিচাহাট ও বড় পাড়া (কসাই পাড়া) এলাকায় একই ঘটনা ঘটে।
চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবায়দুল ইসলামের নেতৃত্বে থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে উপজেলার গাছবাড়িয়া এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যাত্রী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক ঘণ্টার জন্য দোকান বন্ধ করে দেয় স্থানীয়রা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যুবলীগ নেতা রাশেদ, সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান, ফারুক, তুর্য, মিনহাজ, রিয়াসাদ, ইফতেকান হোসেন শুভ, করিম, তানভির ইসলাম রিয়াদ, জিহান, ফারুক, জিএম করিম জিসান, দুর্জয়, ইয়ামিন, হাছান, মিজানসহ অনেকে আহত হয়েছে বলে জানান চন্দনাইশ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মারজাদুল ইসলাম চৌধুরী আরমান।
আহত বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম পাওয়া যায়নি।
চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবায়দুল ইসলাম বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। আমরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।