চতুর্থ ধাপের ভোট আজ, থাকছে শঙ্কাও

পটিয়া, লোহাগাড়া ও কর্ণফুলীর ২৭ ইউপি, কক্সবাজারে ১০ ইউপি ও এক পৌরসভা

নিজস্ব প্রতিনিধি, পটিয়া, চকরিয়া ও টেকনাফ»
আজ অনুষ্ঠিত হবে চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এতে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া, লোহাগড়া, কর্ণফুলী ও কক্সবাজারের চকরিয়া ও টেকনাফে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে। ফলে সংঘাতের শঙ্কা থাকছে। প্রশাসন পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

পটিয়া

পটিয়া উপজেলার ১৭ ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করা। এখানে হাবিলাসদ্বীপ, কোলাগাঁও, কুসুমপুরা, জিরি, জঙ্গলখাইন, হাইদগাঁও, ছনহরা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। সব ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জানা গেছে, এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে খরনায়-৩, কচুয়ায়-২, ছনহরা-২, হাইদগাঁও-৩, কেলিশহর-২, ধলঘাট-২, জঙ্গলখাইন-৩, হাবিলাসদ্বীপ-২, কোলাগাঁও-৩, কুসুমপুরা-৩, জিরি-৩, আশিয়া-৩, কাশিয়াইশ-২, ভাটিখাইন-২ চেয়ারম্যান ছাড়াও মহিলা ও পুরুষ মেম্বার পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
পটিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আরাফাত আল হোছাইনী বলেছেন, নির্বাচনে সকল ধরনের শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ব্যবস্থা করা হয়েছে।

চকরিয়া

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ৮ ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে উপজেলার চিরিংগা, ফাঁসিয়াখালী, ডুলাহাজারা, খুটাখালী, বমুবিলছড়ি, বরইতলী ও হারবাং ইউনিয়ন। চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার চিরিংগা, ডুলাহাজারা, হারবাং, বরইতলী, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের মধ্যে বেশকিছু ভোট কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহিৃত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী মাঠে দুইজন জুড়িসিয়াল ও ২৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্তাবাধানে উপজেলার ৭২টি ভোট কেন্দ্রে ভোটের দিন নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও আনসারসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৩ হাজার সদস্য।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ইউনিয়নে সংরক্ষিত নারী ও পুরুষ সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অপর সাত ইউনিয়নে যথারীতি সকল পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে ফাঁসিয়াখালী ও ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটহণ করা হবে। অন্য ছয়টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হবে ব্যালট পেপারে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, ৮ ইউনিয়নে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ইউপি নির্বাচনের সম্বনয়ক ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন, ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।’

টেকনাফ

প্রথমবারের মতো টেকনাফ পৌরসভায় ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং একই দিন সেন্টমার্টিন ও বাহারছড়া ইউনিয়নে কাগজের ব্যালটে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে টেকনাফ পৌরসভায় ৯ জন, বাহারছড়া ইউনিয়নে ৪ জন ও সেন্টমার্টিনে ২ জন নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৩ প্লাটুন বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড ও পুলিশের ৫ টিম মাঠে কাজ করবেন। পাশাপাশি প্রতি কেন্দ্রে কর্মকর্তাসহ ৫ জন পুলিশ ও ১৭ আনসার-ভিডিপি দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও নিবাচনী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং র্ফোস কাজ করবে।
জানা যায়, টেকনাফ পৌরসভাসহ সেন্টমার্টিন ও বাহারছড়ায় মোট ২৭টি কেন্দ্রে ১১৪টি বুথ রয়েছে। এসব কেন্দ্রে ১০টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন।
এবারে পৌরসভায় মেয়ের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুজন। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মধ্যে এবারে পাঁচ ওর্য়াডে নারী পুরুষ মিলিয়ে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে মোট ৩৩ জন। এর আগে ৩, ৬, ৭, ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চার জন কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
পৌরসভায় মোট ভোটের সংখ্যা ১৬ হাজার ৮৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ হাজার ৩১২, নারী ৭ হাজার ৭৭৩ জন। বাহারছড়া ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১৯ হাজার ৯৭৮ এবং সেন্টমার্টিনে ৩ হাজার ৩৬৫ জন।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. বেদারুল ইসলাম জানান, টেকনাফ পৌরসভা, বাহারছড়া ইউনিয়ন ও সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।