সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
পারিশ্রমিক না পেয়ে চট্টগ্রামে অনুশীলনের প্রথম দিন বর্জন করেছেন দুর্বার রাজশাহীর খেলোয়াড়রা। সেই রাতেই সমস্যার সমাধানে পৌঁছে পরের দিন আবারো অনুশীলনে ফিরে আসেন। আর গতকাল চট্টগ্রাম পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৬৫ রানে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে এনামুল বিজয়-তাসকিনরা। ৬ ম্যাচে দুই জয় ও চার পরাজয় রাজশাহীর। আগের ম্যাচে সিলেট মাঠে তারা ঢাকা ক্যাপিটালসের কাছে ১৪৯ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাস্ত হয়। গতকাল (শুক্রবার) বোলিং নৈপুণ্যে রাজশাহী ৬৫ রানে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে পরাজিত করে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামে রাজশাহী। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান তুলতে সক্ষম হয়। দলের পক্ষে রায়ান বার্ল সর্বোচ্চ ৪১ এবং এনামুল হক বিজয় ৩২ রান করেছেন। লক্ষ্য তাড়ায় ১৭.৩ ওভারেই ১১৯ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট। ঝড়ো শুরু পায় রাজশাহী। এরই মাঝে ৩.১ ওভারে ২৯ রানে তারা প্রথম উইকেট হারিয়ে বসে। ১৪ বলে ২ ছক্কায় ১৯ রান করেছেন রাজশাহীর পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ হারিস। আরেক ওপেনার জিশান আলম তেমন সুবিধা করতে পারছিলেন না। ১৮ বলে ২০ রান করে তিনিও আউট হয়ে যান। আরেকপ্রান্তে লাইফ পেয়ে ঝড়ের আভাস দিচ্ছিলেন অধিনায়ক বিজয়। ২২ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় রাজশাহীর এই দলনেতা করেন ৩২ রান। মাঝে ইয়াসির আলি রাব্বি আউট হয়েছেন ১০ বলে ১৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে। আরেকপ্রান্ত আগলে রাখা রায়ান বার্ল ২৭ বলে ১টি চার ও ৪ ছক্কায় ৪১ রান করলে লড়াকু পুঁজি পেয়ে যায় রাজশাহী। বিপরীতে সিলেট স্ট্রাইকার্সের পক্ষে রুয়েল মিয়া সর্বোচ্চ ৩, নাহিদুল ইসলাম ও নিহাদুুজ্জামান ২টি করে উইকেট শিকার করেছেন। এদিকে সিলেট দলীয় মাত্র ১৩ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলে। ফর্মহীনতায় মাঝে কয়েক ম্যাচ একাদশের বাইরে থাকা পল স্টার্লিং গত ম্যাচে ০ এবং গতকাল ফিরলেন মাত্র ৪ রানে। ব্যক্তিগত মাত্র ৪ রানে রনিও আউট হয়েছেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৮ রান যোগ করেন জাকির হাসান ও জর্জ মুনসি। এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক জাকির আজ ২৮ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন। স্কটিশ ব্যাটার অনেক সংগ্রাম করে ২২ বলে করেন ২০ রান। এরপর উইকেটে আসা-যাওয়ার মিছিল করেছেন সিলেটের ব্যাটাররা। শেষদিকে জাকের আলি তিন ছক্কায় ব্যবধানই কমিয়েছেন কেবল। ডানহাতি এই তরুণ ব্যাটার ২০ বলে ৩১ রান করেন। তার বিদায়ের পর ১৫ বল বাকি থাকতেই সিলেট ১১৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। রাজশাহীর পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন সানজামুল ইসলাম। এ ছাড়া তাসকিন আহমেদ, মৃত্যুঞ্জয় ও আফতাব আলম ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।