নিজস্ব প্রতিবেদক »
উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় এবার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশ। গতবারের তুলনায় এবারের পাসের হার ৪ দশমিক ১৩ শতাংশ কমেছে। যা গত ৫ বছরের ফলের মধ্যে সর্বনিম্ন পাসের হার।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর রেজাউল করিম। এতে সভাপতিত্ব করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এ এম এম মুজিবুর রহমান।
এবার পরীক্ষার্থী ছিলেন এক লাখ ৬ হাজার ২৯৮ জন। তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এক লাখ ৫ হাজার ৪১৬ জন। পাস করেছেন ৭৪ হাজার ১২৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০ হাজার ২৬৯ জন। তাদের মধ্যে ছাত্রী ৫ হাজার ৭৫৯ এবং ছাত্র ৪ হাজার ৫১০ জন। গত বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ। গতবার পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৬ হাজার ৩৩৯ জন।
বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবার ছাত্র পাসের হার ৬৭ দশমিক ৭২ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ৭২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন ১৭ হাজার ৬৯৭ পরীক্ষার্থী।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর ছাড়াও কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার পরীক্ষার্থীরাও অংশ নেন। এ বছর কক্সবাজার জেলায় পাসের হার ৬৩ দশমিক ১৯, রাঙামাটি জেলায় পাসের হার ৬০ দশমিক ৩২, খাগড়াছড়ি জেলায় পাসের হার ৫৯ দশমিক ৬৩, বান্দরবান জেলায় পাসের হার ৫৯ দশমিক ৯০।
বিভাগভিত্তিক ফলাফলে এ বছর এগিয়ে আছেন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এবার বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯১ দশমিক ৩৩ শতাংশ, মানবিকে পাসের হার ৫৭ দশমিক ১১ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পাসের হার ৭৩ দশমিক ৫২ শতাংশ।
তথ্যমতে, এবার ২৮২ কলেজের শিক্ষার্থীরা ১১৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেন। ১৩টি কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। গতবার এ সংখ্যা ছিল ১২টি। একজনও পাস করেনি এমন কলেজ পাঁচটি। ২২ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে।
পাস করেনি চট্টগ্রামের পাঁচ কলেজের একজনও
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এবার উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় ২৮২টি কলেজ থেকে ১ লাখ ৫ হাজার ৪১৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে পাঁচটি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে কেউ পাস করতে পারেনি।
পাসের হার শূন্য কলেজগুলোর মধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় অবস্থিত রহিমপুর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ কলেজ থেকে পরীক্ষায় ৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে কেউ পাস করেনি। একইভাবে রাউজান উপজেলার মোহাম্মদপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে একজন মাত্র শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ফেল করেছে। কক্সবাজার উপজেলার চকরিয়া কমার্স কলেজ থেকে সাত জন অংশ নিয়ে সকলেই ফেল করেছে। চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানা এলাকায় অবস্থিত হালিশহর সেন্ট্রাল কলেজ থেকে একজন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ফেল করেছে এবং নগরের পাঁচলাইশ থানাধীন চট্টগ্রাম জেলা কলেজ থেকে তিন জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কেউ পাস করেনি।
চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর রেজাউল করিম বলেন, ‘যে পাঁচটি কলেজে পাসের হার শূন্য রয়েছে সেসব কলেজগুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’