সুপ্রভাত রিপোর্ট »
অবশেষে চট্টগ্রামে হচ্ছে স্মৃতিসৌধ। সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধের পর এটি হবে দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্মৃতিসৌধ। উত্তর কাট্টলী মৌজার ৩০ একর সরকারি জায়গায় এটি নির্মাণ করা হবে। আগে চারটি অবৈধ ইটভাটা ছিল এখানে। জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ করার পর আবারও দখল করে তারা। এরপর আবারো সমূলে উচ্ছেদ করে প্রশাসন। সম্প্রতি মুখ্য সচিব এই এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। স্মৃতিসৌধ করার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের উত্তর কাট্টলী এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর নির্মাণের প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক।
এরপর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে আ ক ম মোজ্জাম্মেল হক বলেন, ‘চট্টগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য যে জায়গা বাছাই করা হয়েছে, সেটি চমৎকার একটি জায়গা। এত সুন্দর স্থান দেখে আমি অভিভূত। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এই এলাকা আরও সুন্দর স্থানে রূপান্তর হবে। এ অঞ্চলের গুরুত্ব বাড়বে, ব্যাপক উন্নয়ন হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নিউইয়র্কের স্ট্যাচু অব লিবার্টির মতো গুরুত্ব পাবে।’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে একটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের মহাপরিকল্পনা চলছে। এ জমিগুলো প্রতীকী মূল্যে আমাদের মন্ত্রণালয়ের হাতে ন্যস্ত করা হলে আমরা সেটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবো। আপনাদের যে পরিকল্পনা, তা বাস্তবায়ন ও সংরক্ষণ করবো আমরা। পরবর্তীতে যেন মানুষের সামনে তা উপস্থাপন করা যায় সে ব্যবস্থা করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক জায়গাগুলো সংরক্ষণ করবো, যাতে কেউ ইতিহাস বিকৃত করতে না পারে। এক মাস আগে আমাদের মুখ্য সচিবও এ স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। এ নিয়ে ইতিমধ্যে আমাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা বলেছেন। বিস্তারিত আলোচনাও হয়েছে। তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে সম্মতি দিয়েছেন। আমরা শিগগিরই এটি করবো। চট্টগ্রামবাসীর ইচ্ছা, স্বপ্ন, আকাঙ্খা আমরা যাতে পূর্ণ করতে পারি সেজন্য আপনারা দোয়া করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। যাতে এ দেশ আরও এগিয়ে যেতে পারে।’
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বিশেষ অতিথি হিসেবে ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম ইদ্রিস সিদ্দিকী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ বক্তব্য দেন ।