নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বিক্ষোভ করেছেন বন্দীরা। বিক্ষোভ দমন করতে কারাগারের ভেতরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। কারা কর্তৃপক্ষ বলছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয়েছিল।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে নগরের লালদীঘি পারে অবস্থিত কারাগারে এই ঘটনা ঘটেছে। কারাগারে বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজার বন্দী রয়েছে। বন্দিদের মধ্যে ২৫ জনের মতো জঙ্গি, নারীসহ দেড়শ জনের মতো কুকি-চিন সদস্য এবং শতাধিক মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি আছে।
কারাগারের ভেতরে গোলাগুলির ঘটনা শুনে কারাবন্দিদের স্বজনরা প্রধান গেটে এসে জড়ো হতে থাকেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কারাগারের প্রধান গেটসহ কারাগারের সব গেট নিয়ন্ত্রণে নেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর কারাগারের ভেতরে থাকা বন্দিরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর পর তারা ভেতর থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেলা পৌনে দুইটার দিকে কারাগারের ভেতরে বন্দীরা বিক্ষোভ শুরু করলে, পাগলা ঘণ্টা বাজানো হয়। এরপর পর তাঁরা গোলাগুলি শব্দ শুনতে পান। বেলা ২টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত গোলাগুলি শব্দ শুনতে পান প্রধান ফটকের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন ও দোকানদারেরা।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, কারাগার থেকে অনেকেই ছাড়া পাচ্ছেন শুনে অন্য আসামিদের কেন মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না তাই বন্দিরা ভেতরে উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছেন।
জেল সুপার মনজুর হোসেন বলেন, ‘কারাগার থেকে কোনো কয়েদি পলায়নের ঘটনা ঘটেনি। কারাগারের ভেতরে বন্দিরা বিশৃঙ্খলা করে পালিয়ে যেতে চাইলে কারারক্ষীরা তাদের বাধা দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’
উল্লেখ্য, এর আগে গত সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর চট্টগ্রাম কারাগারের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে একদল লোক। তখন কারারক্ষীরা পাল্টা গুলি ছুড়লে তারা সরে যায়। ইমন নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
সেনাবাহিনীর সদস্যরা কারাগারের প্রধান গেটসহ কারাগারের সব গেট নিয়ন্ত্রণে নেন।