এ জেড এম হায়দার »
রাজস্ব আদায়ে গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে কয়েক বছর আগেই আয়কর বিভাগের সম্প্রসারণ পরিকল্পনা নেয়া হলেও করোনা মহামারীসহ নানা জটিতলার কারণে তা অনেকটা থমকে যায়। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে অবশেষে আয়কর বিভাগের সম্প্রসারণ কার্যক্রম আলোর মুখ দেখছে। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে গেলে গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী এ সংক্রান্ত নথিতে স্বাক্ষর করলে তা চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। শীঘ্রই গেজেট প্রকাশের পর সম্প্রসারণ কার্যক্রম শুরু’র প্রক্রিয়া করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
জাতীয় সংসদের নির্বাচন ও বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার পর ফেব্রুয়ারি’র আগে প্রথম ধাপের কাজ শুরু হবে না বলে এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন ২৮টি কর অঞ্চল স্থাপনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। এতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নতুন কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ হবে।
নতুন ২০টি কর অঞ্চল, চারটি বিশেষায়িত ইউনিট ও চারটি আপিল অঞ্চল স্থাপন করা হচ্ছে। এনবিআরের পরিকল্পনা মতে, তিন পর্যায়ে এ কর অঞ্চলগুলো কার্যক্রম শুরু করবে। অভ্যন্তরীণ রাজস্বের অন্যতম খাত হিসেবে আয়কর অনুবিভাগকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার এ কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনুমোদন দিয়েছে বলে এনবিআর সূত্র জানিয়েছে।
প্রথম ধাপে ঢাকার নতুন ১৩টি কর অঞ্চলসহ ই-ট্যাক্স ব্যবস্থাপনা ইউনিট, আয়কর গোয়েন্দা, তদন্ত ও এনফোর্সমেন্ট ইউনিট, আন্তর্জাতিক কর ইউনিট, উৎসে কর ব্যবস্থাপনা ইউনিটের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বৃহত্তর চট্টগ্রামে আরেকটি আপীলসহ ২টি নতুন কর অঞ্চল হচ্ছে। এরমধ্যে ১টি হবে কক্সবাজারে। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের মহেশখালীতে সরকারের কয়েকটি মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন হতে চলেছে, এর থেকে বিপুল রাজস্ব আদায় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামে বর্তমানে ৪টি কর অঞ্চল ও ১টি আপিল অঞ্চল বিদ্যমান। নতুনভাবে চট্টগ্রামে ৫ ও ৬ (কক্সবাজারসহ) কর অঞ্চল হবে। দ্বিতীয় দফায় এ কার্যক্রম আলোর মুখ দেখবে বলে এনবিআর সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়া খুলনায় তিনটি, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল ও রংপুরে একটিসহ ২০টি নতুন কর অঞ্চল হচ্ছে। যশোর, কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, দিনাজপুর, ফরিদপুর, নরসিংদীতে দ্বিতীয় দফায় নতুন কর অঞ্চলের কাজ শুরু হবে। তৃতীয় পর্যায়ে ঢাকায় আরো দুটি, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ১টি কর আপিল অঞ্চল, পাবনা কর অঞ্চল এবং আন্তর্জাতিক কর ইউনিটের কার্যক্রম চালু’র পরিকল্পনা আছে।