ওয়াসার ব্যাপারস্যাপার বোঝার কোনো উপায় নেই। বড় বড় প্রকল্প শেষ করেও নগরবাসীর পানির সম্পূর্ণ চাহিদা মেটাতে পারেনি। এই অভাবের মধ্যেই ৬ মাস ধরে পানির অপচয় হচ্ছে তা নিয়ে গা করছে তারা। পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর ৩৯নং ওয়ার্ড নিউমুরিং গোলাম হোসেন মালুম সড়কে ৬ মাস ধরে ওয়াসার প্রধান পাইপলাইনের পানি রাস্তা ফেটে উপচে পড়ছে। হাজার হাজার লিটার পানি প্রতিদিনই অপচয় হচ্ছে, অথচ সমাধানে দেখেও যেনো না দেখার ভান করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ দীর্ঘ সময় ধরে ওয়াসার কর্মকর্তারা অন্তত ১০ বার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, কিন্তু কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেননি।
মহল্লা কমিটির সর্দার হাজি সুলতান নাসির উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের রাস্তা এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিশাল গর্তের কারণে প্রায়ই মোটরসাইকেল ও রিকশা উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে।’ এলাকার বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিন জানান, পাইপ ফাটার কারণে শুধু একটি নয়, পুরো রাস্তাজুড়ে অন্তত পাঁচটি স্থানে পানি বের হচ্ছে। কোথাও স্থানীয়রা গর্তে লাল কাপড় বেঁধে সতর্কতা দিয়েছেন, কোথাও আবার ইট–পাথর ফেলে দুর্ঘটনা ঠেকানোর চেষ্টা চলছে। আমরা নিজেদের মতো করে গর্ত ভরাট করছি, কিন্তু এটা তো স্থায়ী সমাধান নয়।
ঘটনাস্থলে ঘুরে এসে সাংবাদিক জানিয়েছেন, রাস্তায় ফেটে যাওয়া পাইপের পানি ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। চলাচলে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বৃষ্টির দিনে অবস্থা আরও ভয়াবহ হয় পড়ে বলে জানান স্থানীয়রা। অন্যদিকে ওয়াসা আছে কুম্ভকর্ণের মতো ঘুমে। ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেক গণমাধ্যনকে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা নাই।খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবো। তবে তাদের কথায় আস্থা রাখতে পারছেন না স্থানীয়না। তারা বলছেন, এই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা মাসের পর মাস শুনছেন, কিন্তু কাজের অগ্রগতি শূন্য।
ফলে অপচয় হচ্ছে সরকারি পানি, আর ভোগান্তি পোহাচ্ছেন হাজারো পথচারী ও যানবাহনচালক। নগরের অনেক এলাকায় পানি সরবরাহ হয় সপ্তাহে তিন-চারদিন, অনেক সময় দিনের বেশিরভাগ সময়ে পানি থাকে সে অবস্থায় ছয় মাস ধরে পাইপ ফেটে পানির অপচয় মেনে নেওয়া যায় না। ওয়াসা কর্তৃপক্ষ কেন সে খবর পেল না, অথবা পেয়ে থাকলে ছয় মাসেও কেন মেরামত করতে পারল না তা পরিষ্কার হওয়া দরকার।