নিজস্ব প্রতিবেদক :
আদালতে শিগগির চালু হতে যাচ্ছে সিআর মামলা (কমপ্লেইন রেজিস্টার), হাজিরা ও ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ও ১৪৫ ধারার মামলা দায়ের কার্যক্রম। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ.এইচ.এম. জিয়াউদ্দিন।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির এ নেতা জানান, গত রোববার ভার্চুয়াল মিটিংয়ে তাদের এ কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক। আইনমন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম আদালতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু হবে।
ভার্চুয়াল মিটিংয়ের আলোচনায় সি.আর মামলা, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ও ১৪৫ ধারার মামলা, এসি ল্যান্ডের নামজারি আদেশের বিরুদ্ধে মামলা, নিষেধাজ্ঞা শুনানি, হাজিরা, সমন সংক্রান্ত বিষয়াদি তুলে ধরেন চট্টগ্রামের আইনজীবী নেতারা।
ভার্চুয়াল মিটিংয়ে আইনমন্ত্রী চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নেতাদের জানান, আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল কোর্ট চালু হয়েছে। এটা চলমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য। সংকটকালীন পরিস্থিতি সামাল দিতে। প্রকৃত অর্থে ভার্চুয়াল কোর্ট স্বাভাবিক কোর্টের বিকল্প হতে পারে না। পর্যায়ক্রমে সব কিছু খুলে দেয়া হবে। খুব শীঘ্রই সি.আর মামলা ফাইলিং ও হাজিরা কার্যক্রম এবং ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ও ১৪৫ ধারার মামলা চালু হওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এর আগে গত রোববার থেকে নিয়মিত কোর্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে আসামিদের ‘আত্মসমর্পণের’ সুযোগদানের মাধ্যমে সীমিতভাবে আদালতে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির দাবির প্রেক্ষিতে গত শনিবার আসামিদের আত্মসমর্পণের সুযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে সুপ্রিম কোর্ট বিজ্ঞপ্তি জারি করে ।
জানা গেছে, গত ৯ মে এক আদেশে প্রথম দফায় ৩০ মে পর্যন্ত ভাচূর্য়াল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনা জারি করে উচ্চ আদালত। পরে তা বাড়িয়ে ১৫ জুন পর্যন্ত করা হয়। গত ১১ মে চট্টগ্রাম আদালতে ভার্চুয়াল কোর্ট বিচারিক কার্যক্রম শুরু করে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার আইনমন্ত্রীর সাথে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ.এইচ.এম. জিয়াউদ্দিন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য ও সমিতির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, সাবেক বার কাউন্সিল সদস্য ও সমিতির সাবেক সভাপতি মো. ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সমিতির সাবেক সভাপতি যথাক্রমে একে.এম. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মো. মুজিবুল হক, রতন কুমার রায়, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, এ.এস.এম. বদরুল আনোয়ার, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে হুমায়ন আক্তার মোস্তাক, মো. আখতার কবির চৌধুরী ও অশোক কুমার দাশ।