সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মাদকসহ ফিশিং বোটে নিষিদ্ধ ট্রলিং সরঞ্জাম ব্যবহারের মূলহোতা ভারতীয় নাগরিক ও তিন বাংলাদেশিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড ও সেনাবাহিনী।
আজ (মঙ্গলবার) বিকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট রাফিদ-আস-সামি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানাধীন শেখেরখীল এলাকার একটি গোডাউনে ফিশিং বোটের নিষিদ্ধ ‘আর্টিসনাল ট্রলিং সরঞ্জাম’ স্থাপনের কাজ চলছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার মধ্যরাতে কোস্ট গার্ড কন্টিনজেন্ট বাঁশখালী ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে ওই এলাকায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানকালে একটি গোডাউনে তল্লাশি করে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা মূল্যের ৭টি ট্রলিং জাল, ১৭ হাজার টাকা মূল্যের ৩৪ পিস ইয়াবা, ৩০০ টাকা মূল্যের ১০ গ্রাম গাঁজা ও নগদ ৭৩ হাজার ২৩০ টাকাসহ ৩ বাংলাদেশি কারিগর এবং ট্রলিং সরঞ্জাম স্থাপনের মূলহোতা ভারতীয় এক নাগরিককে আটক করা হয়।
আটক বাংলাদেশিরা হলেন— অমল চন্দ্র (৪৫), নাথন বিশ্বাস (৬০) ও আকাশ বিশ্বাস। এছাড়া পণ্ডিত বিশ্বাস (৩৮) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বাসিন্দা বলে জানা যায়।
আটক ভারতীয় নাগরিকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গোডাউনের মালিক মান্নান মিয়ার বাড়িতে তল্লাশি করে পণ্ডিত বিশ্বাসের একটি ভারতীয় পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটক পণ্ডিত বিশ্বাস বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে ফিশিং বোটে নিষিদ্ধ ‘আর্টিসনাল ট্রলিং’ সরঞ্জাম স্থাপন করেছিলেন। গত বছরের ১৯ অক্টোবর থেকে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে নিয়মিত বাংলাদেশে যাতায়াত করতেন তিনি। সর্বশেষ গত ২ মে ফের সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে প্রথমে বরগুনা জেলার পাথরঘাটায় এবং পরে গত ২৫ জুলাই থেকে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিভিন্ন ফিশিং বোটে নিষিদ্ধ ট্রলিং সরঞ্জাম স্থাপনের কাজ করছে। তার বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, কাঠের তৈরি ফিশিং বোটে অবৈধভাবে ট্রলিং সরঞ্জাম ও ছোট ফাঁসের ‘বেহুন্দি জাল’ স্থাপন করে যান্ত্রিক ‘ট্রলিং ট্রলারে’ রূপান্তর করা হয়। যার ফলে প্রবাল, সামুদ্রিক গাছপালা ও পোনামাছ ধ্বংস হয়ে ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে বঙ্গোপসাগরে মৎস্য শূন্যতার আশঙ্কা তৈরি করছে।
জব্দের আলামত ও আটক আসামিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।