সুপ্রভাত ডেস্ক »
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের কাছে গিয়ে দোয়া নিয়েছেন মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। টানা দ্বিতীয়বার দলের মনোনয়ন পাওয়া তরুণ এই রাজনীতিক চট্টগ্রামে ফিরেই এ দুই শীর্ষ নেতার কাছে যান।
গতকাল বুধবার বেলা ১২টার দিকে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রথমে নগরীর আগ্রাবাদে আ জ ম নাছির উদ্দীনের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। নওফেলকে নাছির বুকে জড়িয়ে নেন। নগর আওয়ামী লীগের আরও কয়েকজন নেতাসহ দু’জন একসঙ্গে আধাঘণ্টারও বেশিসময় কাটান এবং নির্বাচনসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন।
নওফেলের নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী, বাকলিয়া, চকবাজার) থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীনও। মনোনয়ন না পেলেও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আ জ ম নাছির উদ্দীন দলের প্রার্থী নওফেলের পাশে আগের মতোই থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে উপস্থিত নেতারা জানিয়েছেন।
এরপর নওফেল যান নগরীর দামপাড়ায় মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর বাসভবনে। প্রবীণ মাহতাবের পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে দোয়া নেন নওফেল। এ সময় মাহতাব বলেন, ‘নওফেল একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তাকে নির্বাচিত করার জন্য আমরা সবাই নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে মাঠে থাকব। নওফেলকে বিজয়ী করে আমরা কোতোয়ালী আসন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেব।’
জানা গেছে, সাক্ষাতের সময় প্রার্থী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের মনোনয়ন পত্রে প্রস্তাবক হিসেবে মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী এবং সমর্থক হিসেবে আ জ ম নাছির উদ্দীন সই করেন।
জানতে চাইলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘দু’জন আমার চাচা, আমার পিতৃতুল্য নেতা। চট্টগ্রামে উনাদের নেতৃত্বেই আমরা রাজনীতি করি। যেহেতু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাকে আবারও প্রার্থী করেছে, সেজন্য আমি উনাদের দোয়া নিতে গিয়েছিলাম। দুজন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত সহচর। উনাদের নেতৃত্বে, উনাদের অধীনেই আমি ভোটের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হব। উনাদের একজন আমার মনোনয়ন পত্রের প্রস্তাবক, আরেকজন সমর্থক।’
নওফেলের সঙ্গে যাওয়া নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান বলেন, ‘মাহতাব ভাই এবং নাছির ভাই আমাদের চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা। আমাদের দলের প্রার্থী স্বাভাবিকভাবেই উনাদের কাছে গিয়েছেন। অত্যন্ত আন্তরিকভাবে নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে আমরা মাহতাব ভাই-নাছির ভাইয়ের নেতৃত্বে প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করব।’
চট্টগ্রাম নগরীর টানা ১৭ বছরের মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে কোতোয়ালী আসন থেকে প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নওফেল। তরুণ এই সংসদ সদস্য মন্ত্রিসভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।