চট্টগ্রামে নির্মাণ করা হবে তেল ও গ্যাস টার্মিনাল

জানালেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

সুপ্রভাত ডেস্ক »

গ্যাস ও জ্বালানি তেলের আমদানি, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও স্টোরেজ ক্যাপাসিটি বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীন বে-টার্মিনাল এলাকায় তেল ও গ্যাস টার্মিনাল নির্মাণ হতে যাচ্ছে। এ টার্মিনাল দেশে আপদকালীন সময় জ্বালানি তেলের সংকট মোকাবিলায় গ্যাস ও জ্বালানির স্টোরেজ ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি এবং তরল জ্বালানি ও ভোজ্যতেল সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহ ব্যবস্থায় সহায়ক হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

গতকাল বৃহস্পতিবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ‘তেল ও গ্যাস টার্মিনাল’ নির্মাণ সংক্রান্ত এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা তেল ও গ্যাস টার্মিনাল নির্মাণের ব্যাপারে পজিটিভ আছি। দেশের সার্বিক অর্থনীতির কথা চিন্তা করে দ্রুত এ টার্মিনাল নির্মাণ করা উচিত। এটি নির্মিত হলে অন্যান্য বন্দরগুলোও বেনিফিট পাবে। তেল ও গ্যাস টার্মিনাল নির্মাণে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। খবর ঢাকাপোস্টের।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল গোলাম সাদেক, মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী, ইস্ট কোস্ট গ্রুপ কোম্পানির চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এ টার্মিনাল নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে হাইড্রোকার্বন ও নবায়নযোগ্য সেক্টরে সক্রিয় দেশের অন্যতম বৃহৎ ইস্ট কোস্ট গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইসি হোল্ডিংস লিমিটেড। বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি দেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় তেল ও গ্যাস টার্মিনাল স্থাপনের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ইস্ট কোস্ট গ্রুপের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।

এই এমওইউয়ের আলোকে বন্দরের বে-টার্মিনাল এলাকায় সংরক্ষিত জমি থেকে ‘তেল ও গ্যাস টার্মিনালের’ জন্য দুইশ একর জমিতে রেফ্রিজারেটেড এলপিজি টার্মিনাল, ল্যান্ড বেইজড এলপিজি টার্মিনাল, পেট্রোকেমিক্যাল প্রসেসিং টার্মিনাল, পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্ট স্টোরেজ টার্মিনাল এবং ভেজিটেবল অয়েল টার্মিনাল স্থাপনের জন্য কারিগরি সম্ভাব্যতা ও বাজার চাহিদা বিশ্লেষণ করে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বেশি-বিদেশি বিনিয়োগসহ মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

দেশে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেলেও গ্যাস ও জ্বালানি স্টোরেজ ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পায়নি। কক্সবাজারের মহেশখালী এলাকায় তেল ও গ্যাস মজুতের সক্ষমতা সামান্য বেড়েছে। কিন্তু ১৯৫০ সালের পর চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় স্টোরেজ ক্যাপাসিটি তেমন একটা বৃদ্ধি পায়নি।